EURO2020 : পেনাল্টি মিস, তবুও বেল ‘বাজতেই’ জ্বলল ওয়েলস
ম্যাচের ৬০ মিনিটে নিজেদের বক্সে বেলকে ফেলে তুরস্কের বিপদ বাড়ান সেলিক। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে পেনাল্টি মিস করেন ওয়েলসের মহাতারকা গ্যারেথ বেল।
ওয়েলস-২ (রামসে RAMSEY ৪২’, রবার্টস ৯৫’)
তুরস্ক- ০
বাকুঃ দুটো দলের কাছেই আজকের লড়াই ছিল ইউরো কাপে(EURO2021) নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার লড়াই।জিতলে পরের রাউন্ডের টিকিট অনেকটাই নিশ্চিত করা যাবে। আর হারলে এবারের মত ইউরো অভিযানে টানতে হবে ইতি। শেষ পর্যন্ত তুরস্ককে(TURKEY) ২-০ গোলে হারিয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত হল ওয়েলসের (WALES)কাছে। আর ১ ম্যাচ বাকি থাকতে ইউরো থেকে বিদায় নিল তুরস্ক। নজর কাড়লেন ওয়েলস মহাতারকা গ্যারেথ বেল(GARETH BALE)।
ইউরোর যোগ্যতা অর্জন পর্বে মাত্র ৩টি গল হজম করেছিল তুরস্ক। ফলে দলের ডিফেন্স নিয়ে বারবারই ভরসা ছিল সেদেশের সমর্থকদের। এদিন প্রথমার্ধে শুরু থেকে তুরস্ক ডিফেন্স নিজেদের সুনাম অনুযায়ীই পারফর্ম করছিল। তবে আপফ্রন্টের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত সাদামাঠা। যার পুরো ফায়দা তুলছিল ওয়েলস। প্রথমার্ধে ওয়েলসের ঘনঘন আক্রমণ চাপ বাড়াচ্ছিল তুরস্কের ডিফেন্স। বারবারই পরীক্ষায় উতরেও যাচ্ছিলেন তাঁরা। তবে ৪২ মিনিটে গ্যারেথ বেলের দুরন্ত ক্রস থেকে ওয়েলসকে এগিয়ে দেন জুভেন্তাসের মিডিও অ্যারন রামসে। ইউরো শুরুর আগে ফুটবলবিশেষজ্ঞরা বারবার বলছিলেন, গ্যারেথ বেলের পর রামসে হচ্ছেন ওয়েলসের সবচেয়ে বিপজ্জনক।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় তুরস্কের শরীরী ভাষা। মরিয়া তুরস্কের আপফ্রন্ট বেরিয়ে আসে খোলস ছেড়ে। এবার বেশিরভাগ খেলাই যেন হচ্ছিল ওয়েলসের বক্সে। ম্যাচ হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে, এটাই বোধ হয় তাতিয়ে দিয়েছিল তুরস্ককে। তবে ওয়েলসের ৩ কাঠির তলায় ওয়ার্ডেের মত অতন্দ্র প্রহরীর কাছে শেষ হয়ে যায় তুরস্কের যাবতীয় জারিজুরি। এরপর কাউন্টার অ্যাটাকে ব্যবধান বাড়াতে চেষ্টা করে ওয়েলস। ম্যাচের ৬০ মিনিটে নিজেদের বক্সে বেলকে ফেলে তুরস্কের বিপদ বাড়ান সেলিক। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে পেনাল্টি মিস করেন ওয়েলসের মহাতারকা গ্যারেথ বেল।
ফের পাল্টা আক্রমণ শুরু তুরস্কের। তবে এবারও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ তাঁরা। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে ফের একবার গ্যারেথ বেলের মাপা পাস থেকে গোল করে ওয়েলসের জয় নিশ্চিত করেন রবার্টস। ২টি ম্যাচে জয় পেয়ে প্রিকোয়ার্টার ফাইনালের রাস্তা পাকা গ্যারেথ বেলদের সামনে।