Grey Hair Remedies: ধূসর চুলে ফিরিয়ে আনুন কালচে ভাব, নিয়ম করে মাখুন বাটারমিল্ক ও কারি পাতা
Ayurvedic Remedies: আজকাল ৩০-এ অনেকের চুল পাকতে শুরু করে। সেই ধূসরভাবকে ঢাকতে অনেকেই হেয়ার কালারের সাহায্য নেন। কেউ কেউ বাড়িতে হেনা করেন। আবার কেউ পার্লারে গিয়ে রুট টাচ-আপ করিয়ে আসেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি আয়ুর্বেদের সাহায্য নিতে পারেন।
পাকা চুল বার্ধক্যের লক্ষণ। এটা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। একটা বয়সের পর চুলের রং ধূসর হতে থাকে। কিন্তু এটা যদি বয়সের আগেই হয়ে যায়, তাহলে সাবধান হওয়া জরুরি। আজকাল ৩০-এ অনেকের চুল পাকতে শুরু করে। সেই ধূসরভাবকে ঢাকতে অনেকেই হেয়ার কালারের সাহায্য নেন। কেউ কেউ বাড়িতে হেনা করেন। আবার কেউ পার্লারে গিয়ে রুট টাচ-আপ করিয়ে আসেন। কিন্তু এই ধরনের রাসায়নিক রং চুলের ক্ষতি করে। তাই অনেকেই প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নিতে চান। সাধারণত মানসিক চাপ, চুলের অযত্ন, দূষণ কম বয়সে চুলে বার্ধক্য ডেকে আনে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি আয়ুর্বেদের সাহায্য নিতে পারেন।
নারকেল তেল ও কারি পাতা: চুলকে পুনরায় কালো করার এটা সবচেয়ে কার্যকর ও পুরনো পদ্ধতি। ১/৪ কাপ নারকেল তেল গরম বসান। এর মধ্যে ১/২ কাপ কারি পাতা দিয়ে দিন। মিশ্রণটা ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এবার এই তেলটা ছেঁকে কাচের শিশিতে ভরে রাখুন। শ্যাম্পু করার আগে চুলে ভাল করে এই তেল মালিশ করে নিন। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন।
আমলকি: পাকা চুলকে কালো করে তোলার সবচেয়ে ভাল উপায় হল আমলকি। যদিও এখন বাজারে আমলকি পাওয়া যাবে না। কিন্তু শুকনো আমলকি থাকলে তা নারকেল তেলে সঙ্গে আপনি ফুটিয়ে নিতে পারেন। এই তেল আপনি শ্যাম্পু করার আগে চুলে মালিশ করতে পারেন।
বাটারমিল্ক ও কারি পাতা: সাধারণত চুলে দই মাখা হয়। দই চুলকে মসৃণ ও নরম করে তোলে। কিন্তু দইয়ের বদলে আপনি বাটারমিল্কও ব্যবহার করতে পারেন। বাটারমিল্ক রুট টাচ-আপ করতে সাহায্য করে। বাটারমিল্কের সাহায্যে আপনি কারি পাতা বেটে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণতা স্ক্যাল্পে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর সালফার মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্ক আপনাকে এনে দেবে ঘন কালো চুল।
ক্যারট সিড অয়েল ও তিসির তেল: আয়ুর্বেদ চুল কালো করতে ক্যারট সিড অয়েল ও তিসির তেল ব্যবহার করা হয়। মনে করা হয়, এই দুই তেল চুল কালো করার ক্ষেত্রে সেরা ফলাফল প্রদান করে। ১/২ চামচ ক্যারট সিড অয়েলের সঙ্গে ৪ চামচ তিসির তেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর সালফার মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন।