শোয়ার ধরণের ভুলে ক্ষতি হচ্ছে ত্বক! আপনি কেমনভাবে শুয়ে থাকেন?
শোয়ার ধরণে ভুল থাকলে নিঃসন্দেহে ত্বকের বারোটা বাজবে। একথা আমরা নয়, বিশেষজ্ঞরাই জানাচ্ছেন। দিনে যতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন ততক্ষণ কীভাবে ঘুমাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে আপনি কতটা সুস্থ থাকবেন। পশাপাশি মুখের উপরও প্রভাব পড়ে প্রত্যক্ষভাবে।
ঘুমের ধরণের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ত্বকের আসল রহস্য। নামীদামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের সন্ধান পাচ্ছেন না, এমন ভুক্তভোগীর সংখ্যা বহু। সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে ঘুমের মধ্যেই। তাই ঘুম কেমন হবে, কতটা ঘুমাবেন, কেমনভাবে ঘুমাচ্ছেন- সব কিছুর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আপনার স্বাস্থ্যকর জীবনের মূলমন্ত্র। রাতে কেমনভাবে ঘুমিয়ে থাকেন, কীভাবে শুলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে, তার কিছু কয়েকটি লক্ষণ দেওয়া হল…
১ . ডাক্তাররা বলেন, দিনে অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুম শরীরকে সুস্থ ও সজীব রাখে। ঘুমের সঙ্গে মাথায় বালিশ, পেটের কাছে পাশবালিশ না নিলে ঘুম আসে না? প্রতিদিন বালিশের ওয়্যার না কাচলে জমতে পারে ব্যাকটেরিয়া। যা মুখের মধ্যে নানারকম র্যাসেস, ব্রণ সৃষ্টি করে। তাই নিয়মিত বালিশের ওয়্যার কাচুন।
২. অনেকেই উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমাতে ভালবাসেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনি চরম বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। বালিশের মধ্যে মুখ গুঁজে যাঁদের অভ্যেস তাঁদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের প্রবণতা বাড়ে। এছাড়া মুখের মধ্যে ব্রণ, বলিরেখা, পোরগুলি বুজে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। চোখের নীচে ফোলা ভাব, চোখের তলায় কালো ছোপ পড়তে পারে। ঘুমাবার সময় মানুষের শরীরে ও ত্বকের উপর বিশেষ প্রভাব পড়ে।
৩. অনেকেরই একপাশে শোয়ার অভ্যাস রয়েছে। এতে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন এইভাবে শুলে ঘুম খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে। এই ভঙ্গিতে শুলে ডবল চিন, বলিরেখার সম্ভাবনা দেখা যায়। রাতে ঘুমানোর আগে যদি নাইটক্রিম মেখে শোয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে সেই ক্রিমও বালিশে লেগে যায়। তাতে ব্যাকটেরিয়া জমার আশঙ্কা থাকে।
সবচেয়ে ভালো উপায় হল, দিনে যতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন ততক্ষণ সোজা হয়ে অর্থাত্ মুখ যেন উপরের দিকে থাকে এমন ভাবে শোয়ার উপর জোড় দিন। এইভাবে শুলে ত্বকের উপর চাপ পড়ে কম। রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক হওয়ায় ত্বকের জেল্লা বাড়ে। পেটও সুস্থ থাকে। এড়িয়ে যাওয়া যায় বালিশের উপর জমে তাকা ব্যাকটেরিয়াকেও। তাই ত্বকের পরিচর্চার জন্য আগে শোয়ার অভ্যাস বদলান। এরজন্য আলাদা করে কোনও প্রোডাক্ট বা ঘরোয়া টিপসের দরকার হবে না।