Remove Your Makeup: মেকআপ তোলার জন্য দামি পণ্য নয়, রান্নাঘরেই লুকিয়ে রয়েছে সেরা উপাদান!
Skin Care Tips: ভেষজ উপাদান দিয়ে মেকআপ তুললে ত্বকেরও পরিচর্যা হয়। ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল। রাসায়নিকজনিত ত্বকের নানা সমস্যাও দূর হয়ে যায়।
নিজেকে আকষর্ণীয় করে তুলতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে মুখে মেকআপ (MakeUp) অনেকেই করেন। তবে সঠিকভাবে মেকআপ তুলতে (Makeup Remove)অনেকেই ভুলে যান। ছোট্ট এই ভুলের প্রভাব কিন্তু যথেষ্ট বড়। আমাদের ত্বক বড় সংবেদনশীল। মেকআপে থাকে বিভিন্ন রাসায়নিক। তাই দীর্ঘসময় ধরে মুখে ও ত্বকে (Skin Care) মেকআপ লেগে থাকলে তা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে চামড়ার পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং রাতে ঘুমাবার আগে অতিঅবশ্যই মেকআপ তুলে তারপর বিছানায় শোবেন।
বাজারে একাধিক মেকআপ তোলার পণ্য রয়েছে। সামান্য আয়াসেই সেগুলি মুখের মেকআপ তুলে দিতে পারে। তবে কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ বলেন, মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে বাজারচলতি পণ্যগুলি উপকারের তুলনায় অপকার বেশি করে। কারণ মেকআপ তোলার প্রসাধনীতেও থাকে ক্ষতিকর কেমিক্যাল। এমন ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক নানা উপাদান দিয়ে মেকআপ তোলাই বুদ্ধিমানের কাজ। ভেষজ উপাদান দিয়ে মেকআপ তুললে ত্বকেরও পরিচর্যা হয়। ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল। রাসায়নিকজনিত ত্বকের নানা সমস্যাও দূর হয়ে যায়। প্রশ্ন হল, মেকআপ তোলার জন্য কোন কোন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যায়?
এই প্রসঙ্গে ডার্মাটোলজিস্ট ডাঃ মণিকা কাপুর জানাচ্ছেন, আমাদের রান্নাঘরেই লুকিয়ে আছে এমন নানা উপাদান। তাই আগে রান্নাঘরে ঢুকুন ও মেকআপ তোলার জন্য সঠিক উপাদানটি বেছে নিন।
শশার রস: শশায় রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। ফলে ত্বকের নানা প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে পারে শশা। এমনকী বারবার ব্রণ হওয়ার সমস্যায় ভোগেন এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রেও শশার রস অত্যন্ত উপকারী।
মেকআপ তুলতে তাই শশার রস অত্যন্ত উপযোগী। তাই প্রথমে একটি শশা নিন। কুচিকুচি করে কাটুন। ব্লেন্ডারে শশা কুচো ফেলে ভালো করে পেস্ট তৈরি করুন। শশা পেস্ট-এ দিন সামান্য ‘ক্যারিয়ার অয়েল (উদ্ভিজ্জ তেল)। ব্যস, তৈরি আপনার ক্লিনজার।
মধু ও বেকিং সোডা: যে কোনও ধরনের মেকআপ তুলতে মধু ও বেকিং সোডার মিশ্রণের জবাব নেই। এই পদ্ধতিতে মেকআপ তুলতে হলে প্রথমে একটি পরিষ্কার সাদা কাপড়ে অনেকখানি মধু ঢালুন। তার উপর ছড়িয়ে দিন খানিকটা বেকিং সোডা। এবার ওই মধু মাখানো কাপড় দিয়ে ধীরে ধীরে তুলে ফেলুন মেকআপ। মিশ্রণটি মুখের মেকআপের সঙ্গে ত্বকের উপরিভাগে থাকা মৃত কোষগুলিকেও সরিয়ে ফেলে।
দুধ: ত্বকের কোমল পরিচর্যায় দুধের বিকল্প নেই। দুধে থাকা উপকারী প্রোটিন ও ফ্যাট ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে মেরামত করে। ত্বক পরিষ্কার রাখতেও দুধের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
স্টিম: মেকআপ তোলরা ক্ষেত্রে স্টিম অথবা বাষ্পেরও বিশেষ ভূমিকা আছে। এক্ষেত্রে প্রথমে মুখে বাষ্পের স্পর্শ দিন। তারপর কটন বাড দিয়ে মুছে ফেলুন মেকআপ। তবে অনেকেই ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে মেকআপ তোলারা জন্য আগে বর্ণিত পদ্ধতিগুলির আশ্রয় নিন। তারপর স্টিম পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। মুখে জমে থাকা ময়লা দূর করতে স্টিমের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
নারকেল তেল: নারকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এছাড়া ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও দুর্দান্ত কাজ করে নারকেল তেল। তবে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকলে নারকেল তেল না ব্যবহার করাই উচিত।
আরও পড়ুন: Haircare Tips: গরমে স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধির জন্য এই ৩টি উপায় হল সেরা! ট্রাই করলে সুফল পাবেনই