এ বার ঘুমের মধ্যেই ঝরবে ওজন, রইল এই তিন ‘বেডটাইম ড্রিঙ্কস’-এর হদিশ
জিমে ঘাম ঝরিয়ে, নানা ট্রিকেও কাজ হচ্ছে না? আপনার জন্য সুখবর।
ওজন কমাতে চান? জিমে ঘাম ঝরিয়ে, নানা ট্রিকেও কাজ হচ্ছে না? ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেয়ে নিন এই তিন ‘বেডটাইম ড্রিঙ্কস’। কাজ হবে ম্যাজিকের মতো।
দই-প্রোটিন শেক যদি আপনি প্রতিদিন ওয়ার্কআউট করেন তবে ঘুমতে যাওয়ার আগে এই শেক আপনার জন্য একেবারে আদর্শ। প্রোটিন পেশি গঠনে সাহায্য করে। যত বেশি পেশির মজবুত হবে দেহ তত বেশি পরিমাণ ক্যালোরি বার্ন করবে। দুধ বা দুগ্ধজাতীয় পদার্থে পাওয়া যায় ট্রিপটোফ্যান এবং ক্যালসিয়াম। যা ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে। এই দইয়ের সঙ্গে প্রোটিন শেক মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন মিডনাইট ক্রেভিংসও হবে না। উল্টে কমবে ওজন।
দারুচিনির চা ভারতীয় রানাঘরে সুন্দর গন্ধের জন্য দারুচিনি আপন হয়েছে আগেই। ওজন কমাতেও তা থেকে তৈরি চা কিন্তু খুব উপকারী। হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানও। শরীর থেকে যাবতীয় দূষিত পদার্থ নিষ্কাশনে সহায়তা করে দারুচিনির চা। যদি দারুচিনির স্বাদ আপনার ভাল না লাগে সে ক্ষেত্রে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধুও মিশিয়ে দিতে পারেন। তবে চিনি মেশাবেন না ভুলেও। ওজন আরও বেড়ে যাবে।
দুধ-হলুদের শেক দুধ-হলুদের চাহিদা আজকের নয়। শরীর সুস্থ রাখতে, শরীরে ঔজ্জ্বল্য ধরের রাখতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। বিয়ে থেকে শুরু করে সরস্বতী পুজো– হলুদ মাখার চল ভারতীয় সংস্কৃতিতে আজও বর্তমান। তবে জানেন কি? ওজন কমাতেও কাজে লাগে দুধ-হলুদের মিশ্রণ। এক গ্লাস দুধে দুই চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরকে ডিটক্স করে আপনাকে রোগা হতে সাহায্য করে।
তবে এ সবের পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে শুতে যাওয়ার অন্তত দু’তিন ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নেওয়ার। খেয়েই শুয়ে পড়লে কিন্তু ওজন বেড়ে যায়। তবে আর কী? ঘুমিয়েও ঘুমিয়েও আপনার রোগা হওয়া আর আটকায় কে?