বাপের বাড়িতে চার দিন কাটিয়ে আজ গৌরীর ফেরার পালা। মেয়েকে বিদায় দিতে কি আর মন চায়! তবুও তো যেতে দিতে হয়। পরের বছর আবার আসবে মা। সেই প্রতীক্ষাতেই এখন দিন গোনা।
দশমীর পুজোর পর মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয়েছে বরণ পর্ব। লাল-পাড় সাদা শাড়ি এদিনকার একেবারে ট্র্যাডিশন্যাল সাজ। এই দিনকার জন্য একেবারে আদর্শ। অনেকে এদিন লাল শাড়িও পরেন।
বরণ তো করবেন। তবে বরণ ডালায় কী কী রাখতে হয় তা জানেন কি?
পরিষ্কার থালা নিয়ে তাতে দূর্বা, বেলপাতা, সিঁদুর, ফুল, ধান, দুটো পান পাতা আর দুটো পানের খিলি বানিয়ে নেবেন। সঙ্গে রেকাবিতে সন্দেশ বা নারকেলের নাড়ু আর গ্লাসে জল নিতে হবে। একটা বাটিতে আলতা রাখতেও ভুলবেন না।
মা-কে আলতা সিঁদুরে বরণ করে হাতে পানের খিলি দেবেন। মিষ্টিমুখ করাতে হবে। বরণ পর্ব শেষ হলে ৫ জন এয়ো স্ত্রী মিলে সিঁদুর খেলবেন। নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করবেন। মা হিসেবে যেমন বরণ করবেন তেমনই ধান-দূর্বায় মেয়ে গৌরীকে আশীর্বাদও করতে পারেন।
বরণের থালা ৩ দিন ধোয়া চলবে না। তিনদিন পর পান পাতা জলে ফেলে দেবেন। আলতা আর সিঁদুর মায়ের পায়ে ঠেকিয়ে তা নিজেরাও ব্যবহার করতে পারেন।
পড়ুয়ারাও ফুল, বেলপাতা দিয়ে সব ঠাকুরের পায়ে দিন। বই ছুঁইয়ে আশীর্বাদ নিয়ে সারা বছর সেই ফুল যত্ন করে তুলে রাখুন