Happy Halloween 2021: ভূত চতুর্দশীর দিন চোদ্দ শাক কীভাবে রান্না করতে হয়, জানেন?
প্রধানত পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে কালীপূজা বা দীপাবলি অর্থাৎ দিওয়ালির একদিন আশ্বিন মাসের চতুর্দশী তিথিতে ভেষজগুণ সম্পন্ন বিশেষ চোদ্দ রকমের শাক খাওয়ার রেওয়াজ আছে।
পঞ্জিকা মতে আশ্বিন মাসের চতুর্দশী তিথিতে কালীপূজা বা দীপাবলি অর্থাৎ দিওয়ালির একদিন আগে চৌদ্দ প্রদীপ জ্বালিয়ে চৌদ্দ পুরুষের আত্মাকে তুষ্ট করে অশুভ শক্তিকে দূর করার প্রথা পালন করা হয় বলে এই দিনটাকে ভূত চতুর্দশীও বলে। কালীপুজোর সঙ্গে চোদ্দ শাকের সম্পর্ক নিয়ে কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। তবে সমাজবিজ্ঞানীদের মতে এই প্রথার সঙ্গে শস্যদায়িনী দেবী ভাবনার যোগাযোগ রয়েছে। ভেষজবিজ্ঞানীদের মতে ঋতু পরিবর্তনের সময়ে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসাবে এই শাকগুলি খাওয়া হত। বাংলার ঋতু প্রকোপ অন্য প্রদেশের থেকে বেশি হওয়ার জন্য আশ্বিন ও কার্ত্তিক মাস দুটিকে যমদংস্টা কাল বলা হত। তখনকার দিনে বাংলার নব্য-স্মৃতিশাস্ত্রকার রঘুনন্দন (১৬ শতাব্দী) তার অষ্টবিংশতি তত্ত্বের অন্যতম গ্রন্থ “কৃত্যতত্ত্বে” এই সময়কাল উল্লেখ করেছেন “নিৰ্ণয়া-মৃতের” (একটি প্রাচীন স্মৃতির গ্রন্থ) অভিমত অনুসরণ করে।
আয়ুর্বেদ মতে প্রাচীন বাংলায় চোদ্দো শাকগুলি ছিল পালং শাক, লাল শাক, সুষণি শাক, পাট শাক, ধনে শাক, পুঁই শাক, কুমড়ো শাক, গিমে শাক, মূলো শাক, কলমি শাক, সরষে শাক, নোটে শাক, মেথি শাক, লাউ শাক অথবা হিঞ্চে শাক। চোদ্দশাক একরকমের সহযোগী-পরিবেশন পদ। প্রধানত পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে কালীপূজা বা দীপাবলি অর্থাৎ দিওয়ালির একদিন আশ্বিন মাসের চতুর্দশী তিথিতে ভেষজগুণ সম্পন্ন বিশেষ চোদ্দ রকমের শাক খাওয়ার রেওয়াজ আছে। বর্তমানে বিশেষ চোদ্দ রকমের শাক সুলভ না হওয়ায় যে কোনো চোদ্দ রকমের শাক খাওয়া হয়।
কীভাবে চোদ্দ শাক রান্না করবেন, জেনে নিন
চোদ্দ শাক রান্নার কোনও নির্দিষ্ট প্রস্তুত প্রণালী নেই। একেক জায়গায় একেক রকম ভাবে এই শাক রান্না করা হয়। আমিষ অথবা নিরামিষ যেকোনো ভাবেই এই শাক খাওয়ার রেওয়াজ আছে। এক্ষেত্রে কোথাও কালজিরে-কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে, কোথাও রসুন-শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে, আবার কোথাও শুধু পাঁচফোড়ন দিয়েও চোদ্দ শাক ভাজা খাওয়া হয়।
কোথাও কোথাও এই শাক শুধুই ভাজা খাওয়া হয়, অনেকক্ষেত্রে আলু বা বেগুন দিয়েও এই শাক ভেজে খাওয়ার প্রচলন আছে।
আরও পড়ুন: Indian Sweets: সুস্বাদু রকমারি ভারতীয় মিষ্টি নাকি অস্বাস্থ্যকর! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা