আগ্নেয়গিরির লাভার তাপেই রান্না হচ্ছে সুস্বাদু পিত্‍জা! অবাক-কাণ্ডে বিভোর নেটপাড়া

এমন তাক লাগানো কিচেন থেকে পিত্‍জার গন্ধে কী আর চুপ থাকতে পারে পর্যটকরা। লাইন দিয়ে কিনছেন ভলক্যানো-কুকড পিত্‍জা। ভিডিয়োটি দেখে নিন একঝলকে...

আগ্নেয়গিরির লাভার তাপেই রান্না হচ্ছে সুস্বাদু পিত্‍জা! অবাক-কাণ্ডে বিভোর নেটপাড়া
লাইন দিয়ে কিনছেন ভলক্যানো-কুকড পিত্‍জা।
Follow Us:
| Updated on: May 14, 2021 | 7:37 PM

ইচ্ছে থাকলে মানুষ কী না করতে পারে! গুয়েতমালায় সক্রিয় আগ্নেয়গিরির লাভাস্রোতের পাশে দাঁড়িয়ে রান্না করছেন এক ব্যক্তি। এই সময়ের নয়া ফুড ক্রেজ- ভলক্যানো-কুকড পিত্‍জা। যার পোশাকি নাম ‘Pacaya Pizza’।

গুয়োতমালার পাকায়া আগ্নেয়গিরির অপূর্ব ভয়ংকর সৌন্দর্য দেখতে বহু পর্যটকের ভিড় হয়। সেখানেই রথ দেখা আর কলা বেচা দুটোই একসঙ্গে করছেন ৩৪ বছরের ডেভিড গার্সিয়া। লাভাস্রোতের গনগনে গরমের তাপে গলে যাওয়া চিজের ভিতর থেকে উঁকি দিচ্ছে চিকেন হ্যাম, পর্ক আর টমেটোর দুর্দান্ত সস। অভিনব আইডিয়া। আগ্নেয়গিরি চত্বরে, খোলা আকাশের নীচে পিত্‍জা রান্না করছেন ওই ব্যক্তি। এমন তাক লাগানো কিচেন থেকে পিত্‍জার গন্ধে কী আর চুপ থাকতে পারে পর্যটকরা। লাইন দিয়ে কিনছেন ভলক্যানো-কুকড পিত্‍জা। আর সেই ভিডিয়োই এই মুহূর্তে ভাইরাল। ভাবছেন আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত লাভার যা তাপমাত্রা, তাতে গলে যেতে পারে পিত্‍জা প্যান! ব্যবসা করতে গেলে একটু বিশেষ ব্যবস্থা তো নিতেই হবে। গার্সিয়া ভিডিয়োতে জানিয়েছেন, এরজন্য ব্যবহার করেছেন স্পেশাল মেটাল শিট। যা ১৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রাতেও গলে যাবে না, নষ্টও হবে না।

ভিডিয়োতে আরও জানিয়েছেন, অত্যাধিক গরম লাভাস্রোতের পাশে একটি জায়গা গর্ত করে তাতে প্রায় ১৪ মিনিট পিত্‍জা রান্না করতে সময় লাগে।, আর সেখানকার তাপমাত্রা থাকে মাত্র ৮০০ডিগ্রি!

ডেইলি মেইল সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, আগ্নেয়গিরি চত্বরে বেশ কয়েকজন পর্যটক বেশ আগ্রহের সঙ্গে গার্সিয়ার কাছ থেকে পিত্‍জা কিনছেন। ব্যাকগ্রাউন্ডে আগ্নেয়গিরির থেকে নির্গত হওয়া লাভার সামনে পোজ দিয়ে ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়াতে পোস্টও করছেন অনেকে।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে পাকায়া ভলক্যানো থেকে লাভা নির্গত হচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসীদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে আগেই। জারি করা হয়েছে হাইএলার্ট। প্রসঙ্গত, এই আগ্নেয়গিরিটি থেকে প্রথম আগ্ন্যুত্‍পাত ঘটেছিল ২৩হাজার বছর আগে।, স্পেনের এই সক্রিয় আগ্নেয়গিরিটি থেকে এখনও পর্যন্ত ২৩বার অগ্ন্যুত্‍পাত ঘটেছে।