ব্ল্যাক কারেন্ট মিল্কশেক, চটজলদি তৈরি হবে সুস্বাদু এই ঠাণ্ডাই, রইল রেসিপি
ফল ছাড়া চকোলেট দিয়েও আপনি মিল্কশেক বানাতে পারেন।
বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানো অনেক মায়ের কাছেই সাংঘাতিক ঝক্কি। দুধের সঙ্গে সঙ্গে ফলেও অরুচি থাকে অনেক বাচ্চার। তবে একটু বুদ্ধি খাটালেই দুধ এবং ফল দুটোই খাওয়ানো যায় বাচ্চাদের। খুব কম সময়ে চটপট বাড়িতে বানিয়ে ফেলা যায় ফ্রুট মিল্কশেক। মরশুমের যেকোনও ফল দিয়েই এই মিল্কশেক বানানো যায়। এখন যেমন বাজারে কালো আঙুর এবং এমনি সবুজ আঙুর, দুটোই পাওয়া যাচ্ছে। আর ক’দিন পর থেকেই পাওয়া যাবে আমও। অতএব এই গরমে আপনার বাচ্চার জন্য বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ফ্রুট মিল্কশেক।
কালো আঙুর দিয়ে তৈরি করতে পারেন ব্ল্যাক কারেন্ট মিল্কশেক। এই মিল্কশেক তৈরি করতে লাগবে কালো আঙুর, দুধ, গুঁড়ো চিনি, বরফের টুকরো আর ভ্যানিলা আইসক্রিম। আসলে দুধের মধ্যে আইসক্রিম দিলে মিল্কশেক একটু ঘন হবে।
কীভাবে তৈরি করবেন?
মিক্সির মধ্যে দুধ, কালো আঙুর, গুঁড়ো চিনি, বরফের টুকরো আর এক বা দু’স্কুপ ভ্যানিলা আইসক্রিম দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ব্ল্যাক কারেন্ট মিল্কশেক।
এমনি সবুজ আঙুর কিংবা আম দিয়েও এই মিল্কশেক তৈরি করা যায়। ফল ছাড়া চকোলেট দিয়েও আপনি মিল্কশেক বানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে দুধের মধ্যে চকলেটের টুকরো, গুঁড়ো চিনি, বরফের টুকরো আর চকোলেট আইসক্রিম দিয়ে ভাল করে মিক্সিতে মিশিয়ে নিন। উপর থেকে চকোলেটের টুকরো বা বাদাম-কাজু-কিশমিশ ছড়িয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
যদি এইসব মিল্কশেক খুব ঠাণ্ডা করে খেতে চান, তাহলে তৈরির পর গ্লাসে ঢেলে সেটা ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন। ঘণ্টাখানেক পরে বের করে খেতে পারবেন। তবে বাচ্চাদের খুব বেশি ঠাণ্ডা না খাওয়ানোই ভাল। ঠাণ্ডা-গরম লেগে সর্দি-কাশি-জ্বর হতে পারে।