কিডনি আমাদের শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। রক্তকে ফিল্টার করতে, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে এবং যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কিডনির। এছাড়াও শরীরে হরমোন তৈরি করতে, শরীরে খনিজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে ভূমিকা রয়েছে কিডনির।
কিডনির কোনও সমস্যা হলে যদি কিডনি ঠিকমতো না কাজ করতে পারে তাহলে শরীরে টক্সিন জমতে থাকে। এতে শরীরের নানা কাজকর্ম বাধা পায়। আর শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন জমলে শরীরে ফোলাভাব, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা একাধিক সমস্যা থাকে।
এছাড়াও ত্বকে চুলকানি, ঘুম না হওয়া, রক্তাল্পতা,প্রস্রাব কমে যাওয়া, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত এসব নানা সমস্যা লেগেই থাকে। কিডনি ঠিক রাখতে তাই ঠিক ভাবে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। কিছু খাবার আছে যা এড়িয়ে চলতে পারলেই মঙ্গল।
ময়দা আমাদের শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। পাঁউরুটি, পরোটা এসব ময়দা থেকে তৈরি। কেক, ডোনাট, পেস্ট্রি তৈরি করতেও ময়দা লাগে। তাই ময়দা এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল। সব সময় আটার তৈরি রুটি খান। এতে ফাইবারের ভাগ বেশি থাকে। রুটিতে ফসফরাস বেশি থাকে এবং পটাশিয়াম কম থাকে ফলে শরীরের জন্য ভাল।
কলা খুবই স্বাস্থ্যকর। এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে সোডিয়াম কম থাকে। অতিরিক্ত পটাশিয়াম শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। আর তাই যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা কলা এড়িয়ে চলুন। খেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
দুধের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আর পুষ্টি। এছাড়াও দুধের মধ্যে প্রোটিন, ফসফরাস, পটাশিয়াম থাকে। হাড়ের জন্য দুধ ভাল তবে দুগ্ধজাত পদার্থ বেশি খেলে সেখান থেকে অনেক রকম ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যায়। কিডনির রোগীদের জন্য ফসফরাস একেবারেই ভাল নয়।
চিনি শরীরের জন্য একদম ভাল নয়। চিনি বেশি খেলে শুধু সুগার বাড়ে না সেই সঙ্গে কিডনির সমস্যাও আসে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে প্রস্রাবের মাধ্যমে চিনি বেরিয়ে যায়। রক্তে শর্করার পরিমাণ যত বেশি হয় কিডনি দিয়ে ততই বেশি চিনি পরিস্রুত হয়। এর কারণেই ডায়াবেটিসের রোগীদের কিডনির সমস্যা হয়।
নুনের মধ্যে সোডিয়াম অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। আর নুন খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। কিডনির ক্ষতি হতে পারে। নুন একদম মেপে খান। পরিমাণে কম খান। কাঁচা নুন একেবারেই নয়।