ডায়েট করা মানে কিন্তু না খাওয়া নয়। বরং নিয়ম মেনে সঠিক ভাবে সঠিক জিনিস খাওয়ার পদ্ধতিকেই বলে ডায়েট। আর ডায়েটিংয়ের ক্ষেত্রে সময় একটা বড় বিষয়। তাই যাঁরা ডায়েটিং করে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে সুস্থ থাকতে চাইছেন তাঁরা দেখে নিন কী কী করবেন আর কী কী করবেন না।
শুধু ডায়েটিং করলেই ওজন কমবে না। সেই সঙ্গে শরীর চর্চাও করতে হবে নিয়মিত। তবেই আপনি থাকবেন ফিট অ্যান্ড ফাইন। কিন্তু তাই বলে কম খেয়ে বা অতিরিক্ত শরীর চর্চা করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কোনওদিনই শরীর ফিট থাকবে না। অর্থাৎ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন না আপনি। তাই ডায়েটিং এবং শরীর চর্চার পাশাপাশি নিয়মিত সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন। নাহলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যাঁরা ডায়েটিং করছেন, তাঁরা কখনই ব্রেকফাস্ট মিস অর্থাৎ স্কিপ করবেন না। অনেকক্ষণ গ্যাপ বা সময়ের অন্তরে খাবার খাওয়া চলবে না। এর পাশাপাশি সারাদিন ধরে বারে বারে অল্প করে খাবার খান। খাবার সময়ের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
তেলমশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। ফল এবং স্যালাডের দিকে বেশি নজর দিন। এর থেকে শরীরে সঠিক পুষ্টিও হবে এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন ভিটামিন বা মিনারেলস এবং অন্যান্য কোনও ঘাটতি হবে না।
আমিষ খাবার বা অ্যানিম্যাল প্রোটিনের পাশাপাশি যাঁরা ডায়েট করছেন, তাঁদের পাতে রকমারি শাক-সবজিও থাকা প্রয়োজন। তবেই না সঠিক ভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন আপনি।
যে মেদ ঝরানোর জন্য কষ্ট করে ডায়েটিং করছেন, খাওয়া-দাওয়ার নিয়ম মানছেন, সেটার জন্য হজম শক্তি ভাল হওয়া প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণ জল খেতে হবে। এর ফলে হজমশক্তি ভাল হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যাও দূর হবে।