চটজলদি ব্রেকফাস্ট হিসেবে অনেকেই পছন্দ করেন মাখন-পাঁউরুটি। দুপিস পাঁউরুটি, ডিমসেদ্ধ আর কলা যে কোনও জার্নিতে এখনও হিট। এই ব্রেড টোস্টের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক নস্ট্যালজিয়া। পিকনিকের ব্রেকফাস্ট মেনুতেও থাকে এই ব্রেড টোস্ট।
সকাল সকাল ব্রেড টোস্ট, কড়া করে এক কাপ চা খেতে মন্দ লাগে না। রাস্তার বিভিন্ন টি-স্টলেও কচুরি-জিলিপির সঙ্গে থাকে এই ব্রেড। হাতের কাজ মিটিয়ে ঝটপট বানিয়ে ফেলতে এই ব্রেকফাস্টের কোনও তুলনা নেই।
তবে রোজ রোজ এই মাখন পাঁউরুটি খাওয়া কিন্তু মোটেও ঠিক না। অল্প মাখন শরীরের জন্য ভাল তবে রোজ মাখন খেলে তা শরীরে তো জমেই আর সেখান থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যার সম্ভাবনাও থেকে যায়। মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে মাখন খেলে ছোট-বড় রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
মাখনের মধ্যে যেহেতু স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে তা সরাসরি ধমনীতে গিয়ে জমা হয়। যেখান থেকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের সম্ভাবনা থেকে যায়। আর রোজ মাখন-পাঁউরুটি খেলে ওজন বাড়বেই। সঙ্গে কোলেস্টেরলও বাড়বে। আর যদি সেঁকে না খান তাহলে বিপদ মারাত্মক।
স্ট্রোক, হার্ট অ্যার্টাক, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজের সমস্যা বেশি বাড়ে। তাই রোজ মাখন পাঁউরুটি একদম নয়। পরিবর্তে অন্য কোনও খাবার খান। রুটির সঙ্গে রায়তা খেতে পারেন। টকদই, ওটস আর বিভিন্ন ফল একসঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন এতে শরীর সুস্থ থাকবে।
নিয়মিত মাখন খেলে ভুঁড়ি বাড়বেই। আর আমাদের যাবতীয় রোগ এই ভুঁড়ির সঙ্গে সম্পর্কিত। সঙ্গে হাইপারটেনশন, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতেই মাখন রোজ খাবেন না।
পাঁউরুটির মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আর ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে। সেঁকে খেলে সেই ফ্যাটের পরিমাণ অনেকটা কমে। কাঁচা পাঁউরুটি খেলে অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আর এর মধ্যে ইস্টের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই পাঁউরুটি না সেঁকে খাবেন না।
মিষ্টি কিংবা দুধ চায়ের সঙ্গে পাঁউরুটি নয়। এতেও অ্যাসিডিটি হয়। আর বাটার মাখিয়ে খেলেও রোজ কড়া করে টোস্ট নয়। এতে হিতে বিপরীত হবে। তাই একদম হালকা টোস্ট করে মাঝেমধ্যে খেতে পারেন।