শীত মানেই বাড়িতে হরেক মিষ্টির মেলা। শীতকালে বাজারে ওঠে নলেন গুড়। আর সেই গুড় পাক করে মুড়কি, মোয়া, নাড়ু, তিলের খাজা, কাঠিগজা একাধিক কিছু বানানো হয়। শীতের দুপুরে মোয়া খাওয়ার মধ্যে অন্যরকম একটা আমেজ থাকে।
মোয়া ছাড়াও এই সময় গ্রামের দিকে বানানো হয় তিলের খাজা। শহরে এসব খাবারের চল তেমন না থাকলেও তিলের খাজা খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এই সময় ট্রেনে,বাসেও বিক্রি বাড়ে তিলের খাজার।
তিলের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনই রয়েছে গুড়ের। সাদা তিলে একাধিক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। তাই প্রতিদিনের খাবারে এই উপকরণটি ব্যবহার করলে শরীরের ক্যানসার প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণেও অত্যন্ত কার্যকরী এই তিল।
শরীরকে আভ্যন্তরীণ ভাবে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রয়েছে গুড়ের। গুড় খেলে শরীর সুস্থ থাকে, থাকে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও। শীতকালে গুড় শরীর সুস্থ রাখে। শরীরকে গরম রাখে
শুকনো কড়াইতে সাদা তিল দিয়ে নেড়ে নিন। এবার তাতে বাদামি রং ধরলে নামিয়ে রাখুন। একটা থালায় রেখে ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার কড়াইতে চিনি দিন। চিনি গলতে শুরু করলে ওর মধ্যে তিল দিয়ে দিন। সঙ্গে দু চামচ গুড়ও দিতে পারেন।
ভাল করে যাতে পাক হয় তার জন্য ২ চামচ বাটার দিন। এবার একটা বাটার পেপারের মধ্যে তিলের মিশ্রণ ঢালুন। বড় থুন্তি দিয়ে সমান করে উপরে আরও একটা বাটার পেপার দিন। ঠাণ্ডা হওয়ার পর চৌকো করে কেটে নিন।