জল ছাড়া আমাদের পক্ষে এক মুহূর্ত বেঁচে থাকা সম্ভ নয়। সুস্থ থাকতে রোজ নিয়ম করে জল খেতেই হবে। আর তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতেই হবে। চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ সকলেই রোজ নিয়ম করে জল খাওয়ার কথা বলেন।
তবে এই জলের নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ আছে। অতিরিক্ত পরিমাণ জল খেলে সেখান থেকেও হতে পারে বিপত্তি। তখন শরীরে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
জল শরীরের একাধিক কাজে লাগে। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ উৎসেচক, খনিজ, হরমোন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে পানীয় জল। আর তাই জল কম খাওয়া বা জল খেতে ভুলে যাওয়া কোনও কাজের কথা নয়। তাই জল খাওয়ার সময় পাওয়া যাচ্ছে না বা খেতে ভুলে গিয়েছেন এরকম কোনও অজুহাত দেবেন না।
শরীরের প্রতি কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁচ্ছে দেওয়ার কাজ করে জল। সেই সঙ্গে পেট ভাল রাখতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রয়েছে জলের। পেট ভাল রাখতে, হজম ঠিক রাখতে রোজ নুয়ম করে জল খেতে হবে। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতেও জলের প্রয়েোজন রয়েছে।
গবেষণা অনুযায়ী ৩.৭ লিটার ফ্লুইড নিয়মিত প্রয়োজন একমাত্র পূর্ণবয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে তা হল ২.৭ লিটার। আর শরীরের মোট ফ্লুইড চাহিদার ২০ শতাংশ আসে এই জল থেকেই। বাকি অন্য খাবার থেকে।
আর তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ৮ গ্লাস জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সমীক্ষায় বলা হয়েছে নিয়ম করে এই পরিমআম জল খেলে শরীর সুস্থ থাকে। শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিনও বেরিয়ে যায়। পরিবেশের সঙ্গে শরীরের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে এই পরিমাণ জল খেতেই হবে।
হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুলের এক গবেষণা বলছে শারীরিক গঠন, লিঙ্গ এং ওজনের উপর নির্ভর করে জল খেতে হবে। প্রতি ঘণ্টায় বা অন্তত ২ ঘন্টা ছাড়া এক গ্লাস জল খেতেই হবে। সুস্থ থাকতে ৩ লিটার জল খেতেই হবে।