দেখতে দেখতে পুজো প্রায় দোরগোড়ায়। আকাশে-বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। সে যতই আবহাওয়া খামখেয়ালি হোক না কেন পাড়ার মোড়ে ইতিমধ্যেই বাঁশ পড়তে শুরু করেছে। দোকানে ভিড় উপচে পড়ছে। গত ২ বছর কোভিডের কারণে পুজোর আনন্দ তেমন উপভোগ করতে পারেননি মানুষ। এবছর তাই দ্বিগুণ উৎলাহে মানুষ নেমেছেন রাস্তায়।
পুজো আসা মানেই জিমে বাড়তে শুরু করেছে উৎসাহীদের ভিড়। ওজন কমিয়ে কোমর বেঁধে তৈরি হতে হবে তো? তাই আজ থেকে আর বাইরের কোনও খাবার নয়। বিরিয়ানি, চাউমিন আর এগরোলকে আপাতত বলুন টাটা। জোর কদমে শুরু করুন ডায়েট। কিছুটা ওজন ঝরিয়ে ফেলতে পারলে সুন্দর দেখাবে আপনাকেই।
আর এই ওজন কমাতে দারুণ একটি সবজি হল কুমড়ো। রোজ কুমড়ো সেদ্ধ করে খেতে পারলে যেমন ভাল তেমনই কুমড়র বীজও কিন্তু খুব উপকারী। পুষ্টিবিদদরা বলছেন রোজকার ভাতে খান একফালি কুমড়ো সেদ্ধ। সেই সঙ্গে নিয়ম করে ব্রেকফাস্টে অতি অবশ্যই খান কুমড়োর বীজ।
কুমড়োর বীজে রয়েছে আয়রন, ক্যালশিয়াম, বি২, বিটা ক্যারোটিন, ফোলেট থেকে শুরু করে নানা উপকারী উপাদান। এই সব উপাদান থাকায় ওজন দ্রুত কমে। পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতেও একাধিক ভূমিকা রয়েছে এই সব বীজের। আর তাই রোজ নিয়ম করে কুমড়ো বীজ খেতে পারলে খুবই ভাল।
কুমড়োর বীজ যেমন ওজন কমায় তেমনই ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও কুব ভাল। রোজ খেলে সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সও ঠিক থাকে। সম্প্রতি ৩৪৫ জনের উপর একটি গবেষণা চালানো হয়। তাঁদের রোজ নিয়ম করে কুমড়োর বীজ দেওয়া হয়। এরপর দেখা যায় প্রত্যেকেরই ওজন কমেছে। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে আছে সুগারও।
নিয়মিত ভাবে চুল পড়ে যাচ্ছে? চুল খসখসে হয়ে যাচ্ছে? এক্ষেত্রেও কিন্তু কাজে লাগানো যেতে পারে এই কুমড়োর বীজকে। কুমড়োর বীজে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও কুমড়োর বীজ গুঁড়ো করে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাখুন। কাজে আসবে।