অন্যান্য ভিটামিনের মতোই ভিটামিন কে একটি অপরিহার্য পুষ্টি। এই ভিটামিন অত্যধিক রক্তপাত এবং ক্ষত প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি বিভিন্ন প্রোটিন তৈরি করে যা রক্ত জমাট বাঁধতে এবং হাড় গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়।
ভিটামিন কে একটি চর্বি-দ্রবণীয় পুষ্টি উপাদান যা ফাইলোকুইনোন এবং মেনাকুইনোন নামে দুটি আকারে আসে। খাবারের মাধ্যমেই আপনি এই পুষ্টির চাহিদা শরীরে পূরণ করতে পারেন।
সবুজ রঙের খাবারে ভিটামিন কে বেশি থাকে। বাঁধাকপি, লেটুস, পালং শাকের মতো খাবারে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন কে থাকে। এছাড়াও আপনি শরীর ভিটামিন কে-এর চাহিদা পূরণ করতে কোন খাবারকে বেছে নেবেন, দেখে নিন...
ব্রকোলি পুষ্টিতে ভরপুর। সঠিকভাবে রান্না করলে ব্রকোলি আপনার শরীর পুষ্টি ও মিনারেল সরবরাহ করতে পারে। এক কাপ রান্না করা ব্রকোলিতে 220 mcg ভিটামিন কে উপাদান পাওয়া যায়। পাশাপাশি এই সবজি ভিটামিন সি'তে ভরপুর।
শীতে বাজার ছেয়েছে ফুলকপিতে। এই সবজি কিন্তু ওজন কমায়। ফুলকপিতে ফাইবার, কোলিন, সালফোরাফেন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন কে রয়েছে। এক কাপ সেদ্ধ করা ফুলকপিতে প্রায় 17.1 মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে থাকে।
বাঁধাকপি, ফুলকপি এবং ব্রকলির উদ্ভিজ্জ পরিবারেরই সদস্য ব্রাসেল স্প্রাউট। এটি দেখতে ছোট বাঁধাকপির মতোই। তবে এর পুষ্টিগুণ অনেক। এই সবজি ভিটামিন কে সমৃদ্ধ এবং এটি প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন সি-এর একটি চমৎকার উৎস। ব্রাসেল স্প্রাউট পেট, ফুসফুস, কিডনি, স্তন, মূত্রাশয় এবং প্রোস্টেটের ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
গাঁজন করা খাবারও খেতে পারেন। বিশেষত যে সব খাবারে মেনাকুইনোন ফর্মুলা রয়েছে। অর্থাৎ যে সব গাঁজন করা খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় চিজ, সাউরক্রাউট, মিসো এবং নাটো এবং প্রাণীজ খাবার ও দুগ্ধজাত পণ্য। এই খাবারের মধ্যেও ভিটামিন কে রয়েছে। এই খাবার খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে।