বৈচিত্রময় দেশে রঙিন উত্সবের সমারোহ থাকবেই। দেশজুড়ে হোলি পালিত হলেও যেখানে যান না কেন, সব জায়গায় একইভাবে পালিত হয় না। হোলির সঙ্গে কৃষ্ণের কাহিনি যেমন জড়িত, তেমনি বসন্তের আগমনে মেতে উঠে আবির খেলার দৃশ্যেও দেখতে পাবেন।
পশ্চিমবঙ্গের দোল যাত্রা- বাঙালিদের কাছে হোলির অর্থই হল দোল যাত্রা। এই বসন্তোত্সবে সকলেই আবির ও রঙ নিয়ে রাস্তা বেরিয়ে পড়ে। তবে বসন্তোত্সব পালিত হয় শান্তিনিকেতনে। যে রঙিন উত্সবটি শুরু করেছিলেন খোদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
উত্তর প্রদেশের লাঠমার হোলি- দেশের সবচেয়ে অনন্য হোলির উত্সবগুলির মধ্যে এটি। যেখানে মহিলারা লাঠি বা বেত দিয়ে ঢাল হাতে নেওয়া পুরুষদের আঘাত করে। রঙ, মিষ্টি, সঙ্গীত ও উত্সবের আনন্দ তো রয়েছেই।
গোয়ার শিগমো উত্সব- প্রতি বছর মার্চ মাসে গোয়ায় একটি স্বতন্ত্র হোলির উত্সব পালন করা হয়। গোয়ায় বসবাসকারী কোঙ্কানি সম্প্রদায়ের মানুষরা এই উত্সবে সামিল হোন। দেশের অন্যান্য উত্সবের মত শিগমো এখানকার অন্যতম জনপ্রিয় উত্সব।
ওড়িষার দোলা পূর্ণিমা- ফাল্গুন বা মার্চ মাসে দোল একটি বসন্ত উত্সব হিসেবে পালিত হয়। ওড়িষায় উত্সবটি পাঁচ দিন ধরে পালিত হয়। প্রাচীন গ্রন্থে যেমন পুরাণ ও অন্যান্য সংস্কৃত গ্রন্থে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। ঢোল, ঢাক নিয়ে বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। এই দিন প্রত্যেক বাড়িতে ভোগ বিতরণ করা হয়।
মণিপুরের ইয়াওশাং- মণিপুরের নিজস্ব রঙের উত্সব। লামদার প্রথম পূর্ণিমার দিনে শুরু হয়। এই উত্সবে ভক্তরা শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। উত্সবে মণিপুরী লোকনৃত্য, ভক্তিমূলক সঙ্গীত গেয়ে হোলির উত্সব পালন করা হয়।