চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য যে সবসময় ব্র্যান্ডেড পণ্যই ব্যবহার করতে হবে, এমন কোনও নিয়ম নেই। অনেক সময় সস্তার উপাদান ব্যবহার করেও আপনি ঘন, মজবুত চুল পেতে পারেন। শুধু আপনাকে সঠিক উপাদান সঠিক উপায়ে ব্যবহার করতে হবে।
চুলের যত্নে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। শীতের মরশুমে এই ফল সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু শীতের বিদায়ের পর কীভাবে আমলকিকে চুলের যত্নে ব্যবহার করবেন? এই সমস্যার সমাধান হতে পারে আমলকির তেল।
আমলকির মধ্যে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুলকে ঘন ও লম্বা করতে এবং মজবুত করে তুলতে আপনি আমলকির তেল ব্যবহার করতে পারেন।
প্রাচীনকাল থেকে চুলের যত্নে আমলকি ব্যবহার হয়ে আসছে। তাছাড়া মা-ঠাকুমারাও চুলের যত্নে আমলকি তেল ব্যবহার করেছেন। এই টোটকা এবার আপনিও কাজে লাগাতে পারেন। চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে দারুণ উপকারী আমলকির তেল।
শীতে স্ক্যাল্পে খুশকির সমস্যা, চুল পড়ার সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তাছাড়া আর্দ্রতার অভাবে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে আপনি আমলকির তেল ব্যবহার করলে এই সব সমস্যা দূর হতে পারে।
আমলকির মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করে। বাজারে একাধিক নামী-দামি ব্র্যান্ডের আমলকির তেল পাওয়া যায়। কিন্তু উপকার পেতে বাড়িতে বানিয়ে নিন আমলকির তেল।
৩-৪ টে কাঁচা আমলকি নিন। বীজ ছাড়িয়ে ফেলে দিন। এবার ১ কাপ নারকেল তেল নিন। নারকেল তেলের সঙ্গে কাঁচা আমলকি ফুটিয়ে নিন। এই তেলে মেথির দানাও মিশিয়ে দিতে পারেন। এবার এই তেল কাচের শিশিতে ভরে রাখুন।
সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই আমলকি তেল দিয়ে স্ক্যাল্প ও চুল মালিশ করুন। এতে চুল পড়া কমে যাবে, চুলের গোড়া মজবুত হবে। পাশাপাশি আমলকির তেল স্ক্যাল্পের চুলকানি ও খুশকির সমস্যা দূর করে দেবে।