Dusshera 2023: ‘তরঙ্গ’ নৃত্যের সঙ্গে কদম ফুল না হলে দশেরা অসম্পূর্ণ! জানুন গোয়ার আচারবিধি ও তাত্পর্য
Goddess Durga: এই বিশেষ দিনে দেবতাদের উদ্দেশ্যে “সীমোল্লাংঘন” নামে একটি আচার অনুষ্ঠিত হয়। এই উপলক্ষ্যে গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দারা গ্রামের সীমানাতে একটি প্রতীকী চিহ্ন তৈরি করেন। সেখানেই দেবতাদের মূর্তি নিয়ে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়, তারপর সেখান দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই প্রাচীন রীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাজরাজাদের কিছু নিয়ম।
বাংলার বুকে যখন বিষাদের সুর, দেশের অন্যপ্রান্তে মহিষাসুর বধের বিজয় উপলক্ষ্যে দশেরা পালন করা হয়ে থাকে। কখনও শোভাযাত্রা বের হয়ে, কখনও রাবণের কুশপুতুলিকা পুড়িয়ে আবার কখনও প্রাচীন লৌকিক প্রথা মেনে দশেরা পালন করা হয়ে থাকে। প্রত্যেকটিই আলাদা আলাদা মর্যাদা ও গুরুত্ব রাখে। মন্দিরে মন্দিরে বিশেষ বিধি-নীতি মেনে দেবতার পুজো করা হয়ে থাকে। আর এই দশেরার উত্সব কোথাও তথাকথিত নিয়মের থেকেও বেশি গুরুত্ব পায় নিজস্ব প্রথা। তেমনিই গুরুত্ব রয়েছে গোয়ায়। আরব সাগরের কিনারায় অবস্থিত দেশের অন্যতম ছোট্ট এই রাজ্যে দশেরা নয়, স্থানীয় কোঙ্কনি ভাষায় এই উত্সবটি দশরা নামে পরিচিত। এদিন দেবী দুর্গার মহিষাসুরের বিরুদ্ধে জয়লাভের আনন্দ উদযাপন করেন গোয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রাচীন লৌকিক রীতি মেনে এই রাজ্যের গ্রামে গ্রামে তরঙ্গ নামে একটি পবিত্র ও রঙিন ছাতা ব্যবহার করা হয়। এই পবিত্র ও রঙিন ছাতা নিয়ে নৃত্য করতে করতে শোভায়াত্রা বের হয় গোয়ার গ্রামগুলিতে। এই ছাতা আসলে অধিষ্ঠিত দেবতাদের মাথায় ধরা হয়। এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই মন্দিরে মন্দিরে তরঙ্গ নৃত্য পরিবেশিত হয়।
শুধু তাই নয়, এই বিশেষ দিনে দেবতাদের উদ্দেশ্যে “সীমোল্লাংঘন” নামে একটি আচার অনুষ্ঠিত হয়। এই উপলক্ষ্যে গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দারা গ্রামের সীমানাতে একটি প্রতীকী চিহ্ন তৈরি করেন। সেখানেই দেবতাদের মূর্তি নিয়ে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়, তারপর সেখান দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই প্রাচীন রীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাজরাজাদের কিছু নিয়ম। কথিত আছে, এই সময় রাজ্যের কিনারায় এসে রাজারা প্রতিবেশী রাজ্যের রাজার সঙ্গে যুদ্ধ করতে যেতেন। একে বলা হয় সীমোল্লাংঘন। এই প্রথা মেনে চলার পাশাপাশি দুই পার্শ্ববর্তী গ্রামের উপস্থিত স্থানীয়রা “আপত্যাচি পানা” বিনিময় করে থাকেন। এই প্রতীকী শুভেচ্ছা প্রদানকে স্বর্ণের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এই স্বর্ণে বিনিময় হল একটি প্রতীকী উপস্থাপনা। এছাড়া েি সময় হলুদ কদম ফুল বা গাঁদা ফুলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। কারণ এই ফুল ছাড়া গোয়ার দশেরা উত্সব সম্পূর্ণ হয় না। তাই গাঁদা ফুল বিক্রি বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
এই উত্সবের সঙ্গে গোয়া দশেরা কৃষকদের ফসল কাটার উৎসব হিসেবেও পালিত হয়। এই উত্সব উদযাপনের পরে কৃষকেরা খরিফ ফসল যেমন ধান, গুয়ার, তুলা, সয়াবিন, ভুট্টা, বাজরা, ডাল ইত্যাদি কাটা শুরু করেন। শুরু হয় নতুন ফসল কাটার উত্সব।