Navratri: নারীশক্তির আরাধনা করা হয় দেশের এই ৮ বিখ্যাত মন্দিরগুলিতে!
আশ্বিন মাসে দেবীপক্ষের সূচনালগ্ন থেকেই নারীশক্তির প্রতীক হিসেবে বিভিন্ন দেবীকে পুজো করা হয়। তারমধ্যে দুর্গাপুজো, নবরাত্রি, কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজো এই সবই দেবীশক্তির বিভিন্ন রূপকে পুজো করা হয়।
বৈচিত্রময় ও ঐতিহ্যবাহী ভারত স্থাপত্য ও প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। হিন্দু ধর্মে নারীশক্তিকে এক শক্তিশালী অবতারে পুজো করা হয়। সেই ধারা এখনও বর্তমান। আশ্বিন মাসে দেবীপক্ষের সূচনালগ্ন থেকেই নারীশক্তির প্রতীক হিসেবে বিভিন্ন দেবীকে পুজো করা হয়। তারমধ্যে দুর্গাপুজো, নবরাত্রি, কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজো এই সবই দেবীশক্তির বিভিন্ন রূপকে পুজো করা হয়।
বৈষ্ণো দেবী, জম্মু ও কাশ্মীর
জম্মু ও কাশ্মীরের কাতরার ত্রিকূট পর্বতে অবস্থিত এই বৈষ্ণো দেবীর মন্দির অত্যন্ত জনপ্রিয় ও বিখ্যাত। মহাসরস্বতী, মহাকালী, মহালক্ষ্মীর এক মিশ্রিত অবতার এই দেবী। এখানে তিনটি পাথরের বিগ্রহ রয়েছে।
নয়না দেবী, হিমাল প্রদেশ
এটিও অন্যতম বিখ্যাত মন্দির। হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত এই মন্দিরটি মহেশপীঠ বলা হয়। এই স্থানেই নাকি দেবী মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন।
জ্বালা দেবী, হিমাচল প্রদেশ
হিমাচল প্রদেশের কাংড়া দেলায় এই জ্বালা দেবীর মন্দির অবস্থিত। অনন্ত শিখার এক অনন্য় রূপ। ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে এটি একটি অন্যতম। এখানে দেবী সতীর জিহ্বা পড়েছিল বলে পুরাণে উল্লেখ করা রয়েছে।
কামাখ্যা দেবী, অসম
৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে এটি অন্যতম। অসমের গুয়াহাটিতে অবস্থিত। যেখানে বিষ্ণু তাঁর নশ্বর দেহ কেটে টুকরো টুরো করার সময় সতীর যোনি পড়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। শহরের পশ্চিমাঞ্চলের নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত। কামাখ্যা দেবীর মন্দির দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
দক্ষিণেশ্বর, পশ্চিমবঙ্গ
১৮৫৫ সালে রানী রাশমনি এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। হুগলী নদীর তীরে দক্ষিণেশ্বর মন্দিররে দেবী কালীর বিগ্রহ স্থাপন করেন তিনি। তবে এই মন্দিরের মূল দেবী হলেন মা ভবতারিণী। দেবী কালীর অন্য রূপ।
মাদুরাই মীনাক্ষী, তামিলনাড়ু
তামিলনাড়ুর ঐতিহাসিক মাদুরাই শহরের ভাইগাই নদীর তীরে অবস্থিত মীনাক্ষী আম্মান মন্দির। পার্বতীর অন্য রূপকে এখানে পুজো করা হয়। একানে দেবীর ডান হাতে রয়েছে একটি তোতা। সেই তোতার জন্য বিখ্যাত এই মন্দির। এছাড়া দেবীর হিরের নাকছাবি ভক্তদের মন্ত্রমুগ্ধ করে।
ছোটানিক্কার মন্দির, কেরালা
দেবী লক্ষ্মীকে এখানে পুজো করা জহয়। কেরালার উপকূলীয় শহর কোচিতে অবস্থিত। প্রধান দেবীর তিনটি রূপ একসঙ্গে পূজা করা হয়। সকালে মহাসরস্বতী, দুপুরে মহালক্ষ্মী ও সন্ধ্যায় মহাকালী। বিশ্বাস করা হয়, যাঁরা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বা অসুস্থতা রয়েছে, তাঁরা এই দেবীর পুজো করলে সুস্থ হয়ে যায়।
হোরানাডু অন্নপূর্ণেশ্বরী মন্দির ,কর্ণাটক
ভদ্রা নদীর তীরে কর্ণাটকের হোরানাডু অঞ্চলের অন্নপূর্ণেশ্বরী আম্মান্বারা মন্দিরটি শ্রীক্ষেত্র হোরানাডু মন্দির নামেও বিখ্যাত।
আরও পড়ুন: Navratri: সারা বছর স্বাভাবিক থাকলেও নবরাত্রির দিনগুলিতে এই মন্দিরের দেবীমূর্তির আকার বৃদ্ধি পায়!