History of Bhagavad Gita: শ্রীকৃষ্ণ না বেদব্যাস, কে লিখেছিলেন ভগবদ্গীতা? আসল তথ্য জানেন না অনেকেই
Hindu Mythology: গীতা বা শ্রীমদ্ভগবদগীতা সাতশত শ্লোকের ধর্মগ্রন্থ হওয়ায় একে সপ্তসতীও বলা হয়। এই গীতা কোনও একক ধর্মগ্রন্থ নয়, মহাভারতের একটি অংশ। গোটা গীতা সংস্কৃত ভাষায় লেখা। মহাভারতের ষষ্ঠ পুস্তকের ২৩-৪০ অধ্যায়কে ভীষ্মপর্ব বলা হয়। সেই পর্বটিই গীতা নামে স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে, গীতার প্রতিটি শ্লোক হল মুখনিঃসৃত বাণী। তাই গীতার কথক হলেন শ্রীকৃষ্ণ।

ভগবদ্গীতা গীতা অর্থ হল গান। তবে গীতার গুরুত্ব বুঝে অনেকেই নানা নামে অভিহিত করে থাকেন। বিজ্ঞানীদের প্রশংসায় প্রশংসিত এই বিশেষ গ্রন্থ শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বেও বেশ জনপ্রিয়। গীতা বা শ্রীমদ্ভগবদগীতা সাতশত শ্লোকের ধর্মগ্রন্থ হওয়ায় একে সপ্তসতীও বলা হয়। এই গীতা কোনও একক ধর্মগ্রন্থ নয়, মহাভারতের একটি অংশ। গোটা গীতা সংস্কৃত ভাষায় লেখা। মহাভারতের ষষ্ঠ পুস্তকের ২৩-৪০ অধ্যায়কে ভীষ্মপর্ব বলা হয়। সেই পর্বটিই গীতা নামে স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে, গীতার প্রতিটি শ্লোক হল মুখনিঃসৃত বাণী। তাই গীতার কথক হলেন শ্রীকৃষ্ণ। হিন্দুদের কাছে তিনি হলেন ঈশ্বরের এক অবতার। জীবাত্মা, পরমাত্মা। তাই গীতার অপর নাম শ্রীভগবান।
সাধারণত, গীতাকে গীতোপনিষদও বলা হয়। বৈদিক শাস্ত্র অনুসারে, গীতা হল উপনিষদ সাহিত্যের অন্তর্গত। স্মৃতিশাস্ত্রের অন্তর্গত এই গীতাকে আবার মোক্ষশাস্ত্রও বলা হয়। হিন্দুদের কাছে, ভগবদ্গীতা হল একটি পুরাণ। যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ও বিষ্ণুর অন্যতম অবতারদের নাম উল্লেখ রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন পরিস্থিতি ও জীবনপাঠের কাহিনি।
ইতিহাস
হিন্দুদের একাংশ মনে করেন, শ্রীকৃষ্ণ হলেন গীতার রচয়িতা। কিন্তু গীতা হল মহাভারতের একটি পর্বের অংশ। আর মহাভারতের রচয়িতা হলেন বেদব্যাস। মহাভারতের অংশ হিসেবে গীতা আলাদা গুরুত্ব পেলেও, গীতা রচনা করেছিলেন বেদব্যাসই। তবে এ নিয়েও রয়েছে মতভেদ। গীতার গোটা বিষয়বস্তু হল শ্রীকৃষ্ণ ও পাণ্ডব বংশের রাজকুমার অর্জুনের কথোপকথন। মহাভারতের কাহিনি অনুসারে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক আগে, যুদ্ধ পরিস্থিতি ও শত্রপক্ষকে দেখে হুঁস হারিয়ে ফেলেছিলেন মহান যোদ্ধা অর্জুন। শত্রুপক্ষে নিজের বন্ধু, গুরু ও আত্মীয়দের দেখে প্রায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন পাণ্ডব রাজকুমার। সেই সময় অর্জুনকে আলোর পথ দেখাতে ও দিশা দিতে শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে জীবনের পাঠ প্রদান করেন। যুদ্ধের আগে তাঁকে ক্ষত্রিয় যোদ্ধার ধর্ম স্মরণ করিয়ে দিয়ে নানা যোগশাস্ত্র ও বৈদিক দর্শন ব্যাখ্যা করেছিলেন। তাতে অর্জুন নিজের যোদ্ধাসত্ত্বা ফিরে পান। উল্লেখ রয়েছে, অর্জুনকে যোগশাস্ত্র ব্যাখ্য়া করার সময় শ্রীকৃষ্ণ অবতার নয়, ভগবান রূপে নিজেকে প্রকাশ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের জীবনযাত্রার পথে নানা কঠিন মোড়ের পথনির্দেশিকা দিয়েছিলেন। জীবনের দিশা দেখিয়ে ও স্বয়ং ভগবান রূপে নিজেকে প্রকাশ করে অর্জুনকে আশীর্বাদ করেছিলেন। তবে গীতার শ্লোক শুধু অর্জুন নয়, আরও তিনজন শুনেছিলেন। কৃষ্ণের মুখ থেকে গীতা শুনেছিলেন সঞ্জয়, হনুমান ও ঘটোত্কচের পুত্র বর্বরিক।





