Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bhagavad Gita Shlok: ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ এর পোস্টারে জ্বল জ্বল করছে গীতার শ্লোক! এর অর্থ জানা আছে?

Hinduism: আগামী ২৪ ডিসেম্বর কলকাতার বুকে বিশেষ ব্যক্তিত্বরা তো উপস্থিত থাকবেনই, সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন বহু সাধু-সন্ন্যাসীরা। এই বিরাট আয়োজনের পিছনে রয়েছে অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রমের মত একাধিক সংঘ-সংগঠন। শহরের বুকে দেখা গিয়েছে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের পোস্টার।

Bhagavad Gita Shlok: 'লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ' এর পোস্টারে জ্বল জ্বল করছে গীতার শ্লোক! এর অর্থ জানা আছে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2023 | 6:36 PM

আগামী রবিবারেই কলকাতার বুকে লক্ষ মানুষে কণ্ঠে উচ্চারিত হবে গীতার শ্লোক। গীতাপাঠের সঙ্গে বেজে উঠবে হাজার হাজার শঙ্খ। আগামী ২৪ ডিসেম্বর কলকাতার বুকে বিশেষ ব্যক্তিত্বরা তো উপস্থিত থাকবেনই, সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন বহু সাধু-সন্ন্যাসীরা। এই বিরাট আয়োজনের পিছনে রয়েছে অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রমের মত একাধিক সংঘ-সংগঠন। শহরের বুকে দেখা গিয়েছে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের পোস্টার। সেই পোস্টারের মাঝেই লেখা রয়েছে গীতার একটি শ্লোকের পংক্তি। পাশেই রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর একটি ছবি।

পোস্টারে যে শ্লোকের পংক্তিটি লেখা রয়েছে, তা হল,

“যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত।

অভ্যুত্থানম অধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্॥

পরিত্রাণায় হি সাধুনাং বিনাশয় চ দুষ্কৃতাম।

ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে॥”

গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের সাত ও আট নম্বর শ্লোক। এই শ্লোকের অর্থ কী? শ্লোক অনুযায়ী যদি বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে এর অর্থ হল, যখন যখনই ধর্মের নামে গ্লানি, হানি হয়, তখন তখনই অধর্মের অভ্যুত্থান ঘটে। ভারত বলতে এখানে অর্জুনকে সম্বোধন করা হয়েছে। অর্জুনের অপর নাম ভরতবংশী। শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে বলছেন, পাপীদের পরিত্রাণ ও দুষ্কৃতিদের নাশ করে ধর্মসংস্থাপন করার জন্য আমি (শ্রীকৃষ্ণ) যুগে যুগে অবতীর্ণ হই। আরও সরল ও সহজ করে বললে বলা যায়, হে ভারত (অর্জুন), যখনই ধর্মের গ্লানি ও অধর্মের অভ্যুত্থান দেখা যায়, সেই সময় জীবাত্মা (শ্রীকৃষ্ণ) মানবরূপে প্রতিবার অবতীর্ণ হই।

অর্থাত্‍ মোক্ষ লাভের আশায় জীবাত্মা রূপে শ্রীকৃষ্ণ পাপকে বিনাশ করতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বেদান্ত শাস্ত্র অনুসারে, সব মুক্ত আত্মারা নিজ নিজ ইচ্ছা ও শক্তি প্রয়োগ করে দেহধারণ করতে সক্ষম। এই মুক্ত জীবাত্মাকে বলা হয় অবতার। তিনি অক্ষয়, আমৃত্যু।