মানবতা হরণ, চিনের উইন্টার অলিম্পিক বয়কটের ডাক
বেজিং উইন্টার অলিম্পিকে বয়কট নিয়ে অ্যাথলিটদেরও মুখ খোলা উচিত বলে মনে করছেন অনেকেই। তাঁদের দাবি, যদি প্রতিবাদের মঞ্চে এসে দাঁড়ান অ্যাথলিটরা, মানবতারই জয় হবে।
বেজিং: টোকিও গেমস আয়োজন নিয়ে বিরোধীতা কমেনি এখনও। তার মধ্যেই আগামী বছরের বোজিং উইন্টার অলিম্পিক বয়কটের ডাক দিল বেশ কিছু মানবধিকার সংস্থা। চিনে দিনের পর দিন মানবতা ক্ষুণ্ণ হওয়ার অভিযোগে।
চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের জনজাতির উপর চিনা সরকারের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বেশ কিছুদিন ধরেই। সেখানকার সংখ্যালঘু মুসলিম জনজাতি উইঘুরদের স্বাধীনতা কার্যত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার উপর তার প্রভাব অনেক বেশি। যা নিয়ে বিশ্বের ১৮০টা মানবধিকার সংস্থা জোরাল প্রতিবাদ তুলেছে। আর তাই ২০২২ সালের বেজিং উইন্টার অলিম্পিক বয়কটের মধ্যে দিয়ে পাল্টা জবাব দিতে চাইছে প্রতিবাদী সংস্থাগুলো।
আরও পড়ুন: লিভারপুলকে জার্মানিতে ঢুকতে দিল না প্রশাসন
চিন সরকার অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেই চলেছে। কিন্তু ওই দেশের অনেকেই যা মানতে চাইছেন না। ছাত্র দর্জি সেতেন যেমন বলেই দিয়েছেন, ‘৮২ বছর আগে, ১৯৩৬ সালের বার্লিন অলিম্পিকে যা ঘটেছিল, সেই ইতিহাস আরও একবার ফিরে আসছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা আর মানবতার পক্ষে যাঁরা, বেজিং অলিম্পিক বয়কট করা উচিত।’
টোকিও গেমসের পরই বেজিংয়ের শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজন করতে নেমে পড়বে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। করোনার প্রভাবের জন্য চিনের উইন্টার অলিম্পিক নিয়ে বিস্তর কথা চলছে। কিন্তু হঠাত্ করে এই পরিস্থিতি প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে দিয়ে তাদের। প্রশ্ন উঠছে, বেজিংয়ের বদলে কি অন্য কোনও দেশে সরানো হতে পারে উইন্টার অলিম্পিক?
আরও পড়ুন: প্রথম রাউন্ডে সহজ প্রতিপক্ষের মুখে জোকার-নাদালরা
আইওসির ভাইস প্রেসিডেন্ট পাউন্ড কিন্তু পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমরা অন্য কিছু নিয়ে ভাবছি না। আর যে কোনও ঘটনাতেই যদি বিকল্প রাস্তা খুঁজতে হয়, তা হলে অলিম্পিকের মতো উত্সব কোনও দেশই উদযাপন করতে পারবে না।
অতীতে রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিক বয়কট করেছিল আমেরিকা। পাল্টা ১৯৮৪ সালের লস অঞ্জেলিস অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেনি রাশিয়াও। আইওসি সেই যুক্তি তুলে ধরে বলছে, অতীতের ঘটনাগুলোকে যদি গুরুত্ব দিতে হয়, তা হলে তো গেমসই আয়োজন করা যাবে না। এতে কিন্তু অ্যাথলিটদের স্বপ্নভঙ্গ হবে।
আরও পড়ুন: ৫ ফেব্রুয়ারি ! রোনাল্ডো মিশলেন নেইমার-তেভেজে
বেজিং উইন্টার অলিম্পিকে বয়কট নিয়ে অ্যাথলিটদেরও মুখ খোলা উচিত বলে মনে করছেন অনেকেই। তাঁদের দাবি, যদি প্রতিবাদের মঞ্চে এসে দাঁড়ান অ্যাথলিটরা, মানবতারই জয় হবে।