IPL 2021: অমিত বিক্রমে মুম্বই ‘দশা’ কাটল দিল্লির

১৪ বছর খেলছেন আইপিএল। সব মিলিয়ে ১৬৪ উইকেট নিয়েছেন। বয়স বেড়েছে। ইদানীং পরচুলও পরেন। কিন্তু লেগস্পিন সেই আগের মতো ধারালো, বিষাক্ত। অমিতের শিকারের ঝুলিতে কে নেই? রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, কায়রন পোলার্ড, ঈশান কিষাণ

IPL 2021: অমিত বিক্রমে মুম্বই ‘দশা’ কাটল দিল্লির
ছবি-টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Apr 21, 2021 | 9:30 AM

অভিষেক সেনগুপ্ত

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৩৭/৯ (২০ ওভারে) দিল্লি ক্যাপিটালস ১৩৮/৪ (১৯.১ ওভারে)

৩৮-এও কেরিয়ার কি নতুন করে শুরু করা যায়? আন্তর্জাতিক না হোক, আইপিএলে এমন ক্রিকেটার খুব কম নেই। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন অমিত মিশ্র। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মানে শুধু হারের গল্প। আগের পাঁচটা ম্যাচ পর পর হেরেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। আটত্রিশের অমিত বিক্রমেই মুম্বই ‘দশা’ কাটাল ঋষভ পন্থের টিম।

১৪ বছর খেলছেন আইপিএল। সব মিলিয়ে ১৬৪ উইকেট নিয়েছেন। বয়স বেড়েছে। ইদানীং পরচুলও পরেন। কিন্তু লেগস্পিন সেই আগের মতো ধারালো, বিষাক্ত। অমিতের শিকারের ঝুলিতে কে নেই? রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, কায়রন পোলার্ড, ঈশান কিষাণ। চিপকের পিচে বল পড়ে ঘুরছে। নীচু হচ্ছে। চকিত টার্ন নিচ্ছে। স্পিনাররাই ম্যাচ উইনারের ভূমিকা নিচ্ছেন চেন্নাইয়ের ম্যাচগুলোয়। মঙ্গলবারের চিপক অমিতের প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী রইল। গতবার চোটের জন্য খেলতে পারেননি। এ বারও শুরুর দিকে জায়গা মিলছিল না টিমে। সেই অমিতই রোহিতদের বিরুদ্দে দুরন্ত পারফর্ম করে গেলেন। ৪ ওভার বল করে ২৪ রান দিয়ে চারটে উইকেটই ম্যাচের দিশা পাল্টে দিয়েছিল।

আইপিএলে সবচেয়ে ধারাবাহিক টিম মুম্বই। পাঁচ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন তো বটেই, যত সময় গড়ায় ধীরে ধীরে নিজেদের কম্পোজড করে ফেলেন রোহিত, কায়রনরা। দিল্লি ম্যাচে মুম্বই থামল ১৩৭/৯-এ। ৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় দিল্লি। পর পর তিনটে জয় লিগ টেবলের দুইয়ে তুলে দিল পন্থদের। সমান পয়েন্ট নিয়ে একে বিরাট কোহলির আরসিবি।

স্কোর বোর্ড শুধু হাইলাইটসই দেখায়। চাপা পড়ে যায় অনেক লড়াই। ম্যাচের শুরুতে যেমন ছিল রোহিতের। ম্যাচের শেষ দিকে যেমন ছিল শিখর ধাওয়ানের। রোহিত এই আইপিএলে তেমন ছন্দে নেই। বড় রান এখনও বেরিয়ে আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে। দিল্লি ম্যাচে কিন্তু শুরু থেকেই ছন্দে খেলছিলেন।৩০ বলে ৪৪ করে আউট হয়ে যান রোহিত। ওখান থেকেই ম্যাচটা ধরে নিলেন অমিতরা। সূর্যকুমার যাদবের ২৪, জয়ন্ত যাদবের ২৩ আর ঈশান কিষাণের ২৬ বাদ দিলে বাকিরা ব্যর্থ।

আরও পড়ুন:সুপার লিগের সমালোচনায় বেকহ্যাম-কতোনা

১৩৮ তাড়া করতে নেমে দিল্লি তাড়াহুড়ো করেনি। জয়ন্তের বলে পৃথ্বী (৭) দ্রুত ফিরে গেলেও খেলা ধরে নিয়েছিলেন শিখর আর স্টিভ স্মিথ। দু’জনের ৫৩ রানের পার্টনারশিপটাই জযের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিল দিল্লিকে। শিখর ৪৫ করে ফেরার আগে স্মিথ ৩৩ করে আউট হন। টার্গেট খুব বেশি না হওয়ায় ম্যাচ জিততে অসুবিধা হয়নি।

এই ম্যাচ সব অর্থে অমিতেরই। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে আইপিএলের ‘প্রবীণ’ লেগস্পিনার বলে গেলেন, ‘আমি জায়গায় বল রাখার পাশাপাশি ছোট ছোট টার্ন করানোর চেষ্টা করি।’ চিপকে সফল হওয়ার জন্য এত থেকে বেশিই আর কী চাই!

সংক্ষিপ্ত স্কোর: মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৩৭/৯ (রোহিত ৪৪, ঈশান ২৬, সূর্য ২৪, অমিত ৪/২৪, আবেশ ২/১৫, ললিত ১/১৭)। দিল্লি ক্যাপিটালস ১৩৮/৪ (শিখর, ৪৫, স্মিথ ৩৩, ললিত নট আউট ২২, পোলার্ড ১/৯, জয়ন্ত ১/২৫)।