IPL Retro Story: ঋদ্ধি ‘সুপারম্যান’ সাহা, আইপিএল ফাইনালে সবচেয়ে বেশি বয়সে হাফসেঞ্চুরি…
IPL 2024, Wriddhiman Saha: বয়স বাড়লে ফিটনেস এবং ধারও কমে। সকলের ক্ষেত্রে তা নয়। ঠিক যেমন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সিএসকে অধিনায়ক ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেন। আর ঋদ্ধিমান সাহা ওপেনার। ২০১৯ সালের প্রিমিয়ার লিগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলেন। সেখানে ধারাবাহিক সুযোগ পাচ্ছিলেন না। সীমিত সুযোগে নজর কেড়েছেন। ২০২২ আইপিএলে যেন নতুন ঋদ্ধিমান সাহাকে পাওয়া যায়। আইপিএলে দল বাড়ে। গুজরাট টাইটান্স নেয় ঋদ্ধিমান সাহাকে। তাদের টার্গেট ছিল সুরক্ষিত কিপার।
দেশের সেরা কিপার। শুধুমাত্র কিপার হিসেবে বললে, ঋদ্ধিমানই দেশের সেরা। তাঁকে সর্বকালের সেরাদের তালিকাতেও রাখা হয়। বিশ্ব ক্রিকেটেও তাঁর মতো দক্ষ কিপার খুব কমই এসেছে। সময় পাল্টেছে। এখন বেশির ভাগ টিমই ব্যাটার-কিপার খোঁজে। অন্তত সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তাই। ধীরে ধীরে টেস্টেও সেই ধারা যেন ঢুকে পড়ছে। ব্যাটার-কিপার যুগেও এমন দল আছে যারা সুরক্ষিত কিপার চায়। ব্যাট হাতে অবদান রাখলে সেটা বোনাস। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গত ১৬ মরসুমে সেটাই করে এসেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজনই রয়েছেন যাঁরা আইপিএলের জন্মলগ্ন থেকে খেলে আসছেন। এখনও খেলছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ঋদ্ধিমান সাহা। ২০০৮ সালে শুরু হয় বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। কলকাতা নাইট রাইডার্সে আইপিএল কেরিয়ার শুরু ঋদ্ধিমান সাহার। প্রথম তিন মরসুম ‘হোম’ টিম কেকেআরেই খেলেন বাংলার এই কিপার। ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসে রিজার্ভ কিপার হিসেবে নেওয়া হয় তাঁকে।
চেন্নাই থেকে পঞ্জাব। ২০১৪ আইপিএলে স্পেশালিস্ট কিপার হিসেবে সাহাকে নেয় কিংস ইলেভেন পঞ্জাব (বর্তমানে যা পঞ্জাব কিংস)। চোখ ধাঁধানো ক্যাচ কত নিয়েছেন, তার কোনও হিসেব নেই। তবে ২০১৪ আইপিএল তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম সেরা। প্রায় ৩৩ গড়ে ৩৬২ রান করেছিলেন। স্ট্রাইকরেট ১৪৫-এর বেশি। ফাইনালে সেঞ্চুরির রেকর্ড। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ফাইনালের মঞ্চে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। যদিও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে হার পঞ্জাবের। মাত্র ৫৫ বলে ১০টি বাউন্ডারি ও ৮টি ওভার বাউন্ডারিতে ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন ঋদ্ধি।
বয়স বাড়লে ফিটনেস এবং ধারও কমে। সকলের ক্ষেত্রে তা নয়। ঠিক যেমন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সিএসকে অধিনায়ক ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেন। আর ঋদ্ধিমান সাহা ওপেনার। ২০১৯ সালের প্রিমিয়ার লিগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলেন। সেখানে ধারাবাহিক সুযোগ পাচ্ছিলেন না। সীমিত সুযোগে নজর কেড়েছেন। ২০২২ আইপিএলে যেন নতুন ঋদ্ধিমান সাহাকে পাওয়া যায়। আইপিএলে দল বাড়ে। গুজরাট টাইটান্স নেয় ঋদ্ধিমান সাহাকে। তাদের টার্গেট ছিল সুরক্ষিত কিপার।
গুজরাট টাইটান্স প্রথম মরসুমেই চ্যাম্পিয়ন। এতে বড় অবদান রয়েছে ঋদ্ধিমান সাহার। ১১ ম্যাচে ৩১৭ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লে-তে ক্যামিও ইনিংস খেলে দলের শুরুটা দুর্দান্ত করেন। ৩টি হাফসেঞ্চুরিও করেছিলেন। ১১টি ক্যাচ ও দুটি স্টাম্পিং। গত মরসুমেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। ১৭ ম্যাচে ৩৭১ রান। গ্লাভস হাতে কত রান বাঁচিয়েছেন তার হিসেব নেই। তৎকালীন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বারবার ঋদ্ধিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। গত সংস্করণে রেকর্ডও গড়েছেন ঋদ্ধি। ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন।
আইপিএল ফাইনালে সবচেয়ে বেশি বয়সে হাফসেঞ্চুরি প্লাস স্কোরের রেকর্ড ছিল শেন ওয়াটসনের দখলে। ৩৭ বছর ৩২৯ দিন বয়সে এই রেকর্ড গড়েছিলেন। ২০২৩ আইপিএল ফাইনালে ৩৮ বছর ২১৮ দিন বয়সে হাফসেঞ্চুরি করে এই রেকর্ড ভাঙেন ঋদ্ধি। বয়স ৩৯। এ বারের আইপিএলেও গুজরাট টাইটান্সের প্রথম চয়েস কিপার ঋদ্ধিমান সাহাই। নতুন ক্যাপ্টেন শুভমন গিলও তাঁকে শ্রদ্ধা এবং ভরসা করেন। ইতিমধ্যেই আইপিএলের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। এ বার মাঠে নামার পালা।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ১৬টি সংস্করণ মিলিয়ে ১৬১ ম্যাচ খেলেছেন ঋদ্ধি। ২৭৯৮ রান করেছেন। একটি সেঞ্চুরি ও ১৩টি হাফসেঞ্চুরি। ৮৮টি ক্যাচ এবং ২৪টি স্টাম্পিং। গ্লাভস হাতে গর্বের পারফরম্যান্স, ব্যাট হাতেও।