Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

David Warner, IPL: পাক-বধে নায়ক, ভারতকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন ওয়ার্নার!

ICC World Cup 2023, David Warner: আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সফল ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার। আর সিনেমার সঙ্গে সম্পর্ক! ভারতীয় সিনেমার বড় ভক্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নানা ভিডিয়ো অন্যতম আকর্ষণ। বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ১০ রানেই ফিরতে পারতেন। ক্যাচ ফসকান উসামা মির। এরপর তাণ্ডব। সেঞ্চুরি পূর্ণ হতেই পরিচিত সেই বিরাট লাফ। সঙ্গে পুষ্পা সিনেমার সেই পরিচিত সেলিব্রেশন। পুষ্পা, ঝুকেগা নেহি স্টাইলে বেঙ্গালুরুর গ্যালারিতে ঝড় তুললেন।

David Warner, IPL: পাক-বধে নায়ক, ভারতকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন ওয়ার্নার!
Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2023 | 7:00 AM

বেঙ্গালুরু: ক্যাচ মিস খেলারই অংশ। কেউ এর সদ্ব্যবহার করতে পারেন। ডেভিড ওয়ার্নার যেমন করেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টানা চারটি ওডিআই ম্যাচে সেঞ্চুরি। আর চতুর্থ সেঞ্চুরিটা বিশ্বকাপের মঞ্চে। বছরখানেক আগেও টিমে ওয়ার্নারের জায়গা পাওয়া নিয়ে নানা বিতর্ক চলছিল। অনেকেই পরামর্শ দিয়েছিলেন অবসর নেওয়ার। বিশ্বকাপে অজি ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এর অন্যতম কারণ, তাঁর ‘সেকেন্ড হোম’-এ বিশ্বকাপ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতেছেন। দল জিতেছে। পাকিস্তান বধে অজি টিমের নায়ক কৃতিত্ব দিচ্ছেন ভারতকেই। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে ডেভিড ওয়ার্নারকে চেনেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। ভারতে খেলা বিদেশিদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটার ওয়ার্নার। সৌজন্যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ এবং সিনেমা। আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সফল ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার। আর সিনেমার সঙ্গে সম্পর্ক! ভারতীয় সিনেমার বড় ভক্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নানা ভিডিয়ো অন্যতম আকর্ষণ। বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ১০ রানেই ফিরতে পারতেন। ক্যাচ ফসকান উসামা মির। এরপর তাণ্ডব। সেঞ্চুরি পূর্ণ হতেই পরিচিত সেই বিরাট লাফ। সঙ্গে পুষ্পা সিনেমার সেই পরিচিত সেলিব্রেশন। পুষ্পা, ঝুকেগা নেহি স্টাইলে বেঙ্গালুরুর গ্যালারিতে ঝড় তুললেন।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার সময়ও এমন অনেক কিছু করে থাকেন। যা গ্যালারিকে আনন্দ দেয়। ওয়ার্নারের সামনে পাকিস্তানও ঝুকে গিয়েছে। ১৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংসই কার্যত ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়। ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে ওয়ার্নার বলছেন, ‘টেস্ট খেলার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। সুতরাং, ৫০ ওভারের ফরম্যাটে পারফর্ম করার মতো যথেষ্ঠ ধৈর্যও রয়েছে। ইনিংসটাকে সে ভাবেই সাজাতে চেষ্টা করি। ওপেনার হিসেবে আমার প্রথম লক্ষ্য থাকে অন্তত ৩৫ ওভার ক্রিজে কাটানো। এই সময়টা কাটিয়ে দিতে পারলে, রানের গতি বাড়ানো কঠিন নয়। এই মানসিকতা তৈরি হয়েছে বিশেষ করে আইপিএল থেকে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলার সময় থেকেই একটা বিষয় উপলব্ধি করেছি, গিয়ার বদলানোর জন্য মানসিক ভাবে অনেকটাই সময় থাকে। সেটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। আইপিএলের সৌজন্যে ভারতের প্রায় সব মাঠেই খেলার সুযোগ হয়েছে। সব পরিস্থিতিই আমার কাছে চেনা। নিজেকে সময় দিলে, বড় রান করা সম্ভব, সেটা আইপিএল থেকেই উপলব্ধি করেছি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঠিক একই রকম অনুভূতি হচ্ছিল।’

ওয়ার্নার-মার্শের ওপেনিং জুটি ভিত শক্ত করেছিল অস্ট্রেলিয়ার। যদিও এই জুটি ভাঙতেই কিছুটা খেই হারায়। মিডল অর্ডারে কেউ নিজেকে সময় দিয়ে খেলেননি। ক্রিজে নেমেই বড় শট খেলার চেষ্টায় নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়েছে। নয়তো ৪০০ পেরিয়ে যাওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত ছিল অস্ট্রেলিয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে জয়ের ব্য়বধান একশোর বেশিই হতে পারত।