অভিজ্ঞতা মাত্র তিন টেস্টের। কেরিয়ারের চতুর্থ এবং ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম বার টেস্ট খেলার সুযোগ। চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনই ঝুলিতে চার উইকেট! এর মধ্যে রয়েছে বর্তমান প্রজন্মে বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটার বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার উইকেট। প্রথম সেশনেই ভারতকে খাদের কিনারায় ঠেলে দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশ শিবিরে নায়কের জায়গা পাচ্ছেন হাসান। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে একাই নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। ভারত সফরের প্রথম দিন চার। কতটা উচ্ছ্বাসে ভাসছেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার। কী বলছেন?
বেশির ভাগ পেসারের ক্ষেত্রেই একটা আগ্রাসী ভাবমূর্তি থাকে। উইকেট নিয়ে বন্য আনন্দে ভাসবেন, এমনটাই প্রত্যাশিত। বাংলাদেশের তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ যেন উল্টো ধাঁচের। কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্টেই বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো কিংবদন্তির উইকেট নিয়েও উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা গেল না। দিনের খেলা শেষে হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সেলিব্রেশন করি না। এর কোনও বিশেষ কারণ নেই। হয়তো বলতে পারেন, আমি যদি বেশি সেলিব্রেট করি, ব্যাটারের হয়তো আরও বেশি খারাপ লাগবে। হয়তো এটাও কারণ, সেলিব্রেট না করার।’
অন্য উইকেট না হয় ঠিক আছে। বিরাট-রোহিতের মতো ব্যাটারকে ফিরিয়েও কি বাড়তি উচ্ছ্বাস হয় না? এই প্রশ্নে বলছেন, ‘আমি খুবই খুশি। বর্তমান প্রজন্মের সেরা ব্যাটার। তাঁদের উইকেট নিয়ে অবশ্যই খুশি হওয়ার কথা। আমারও তেমনই আনন্দ হচ্ছে।’ বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক স্তরের ক্রিকেট থেকে উঠে আসা হাসান মাহমুদের প্রথম স্পেল মুগ্ধ করেছে সকলকেই। নতুন বলে যে ভাবে লাইন লেন্থ ধরে রাখলেন, ব্যাটারদের ভুল করতে বাধ্য করলেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। অতি উচ্ছ্বাসে না ভেসে যাওয়া যেন তাঁর এগিয়ে যাওয়ার অংশ!