Mukesh Kumar: ‘টেস্ট না খেললে, আর কী খেললে,’ স্বপ্নপূরণের পথে মুকেশ
India tour of West Indies: বাবা প্রয়াত হয়েছেন। তিনি অবশ্য শুরুর দিকে ক্রিকেটের বিরোধিতাই করেছেন। চাইতেন, মুকেশ সিআরপিএফ-এ যোগ দিক। আর্থিক নিরাপত্তাও মিলবে। সেখানে ব্যর্থ হন।
কলকাতা: লড়াই কাকে বলে? বাংলার পেসার মুকেশ কুমারের চেয়ে আর ভালো কে বলতে পারবেন! ওর কাছে লড়াইটা যেন সহজাত। তবে যার জন্য এত লড়াই, অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতীয় টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলার পেসার। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আগেই জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তবে খেলার সুযোগ হয়নি এখনও অবধি। এ বার টেস্ট দলেও ডাক পেলেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালের স্কোয়াডে স্ট্যান্ড বাই হিসেবে ছিলেন। মূল দলে জায়গা করে নেওয়ার পর অপেক্ষা টেস্ট খেলার। এমন একটা দিনে, কী বলছেন বাংলার পেসার? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
লাল বলের ক্রিকেটে অতি পরিচিত নাম মুকেশ। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স নজরকাড়া। টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পেয়ে বলছেন, ‘কথায় আছে, টেস্ট ক্রিকেট না খেললে আর কী খেললে?’। ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট এবং ওডিআই, দুই স্কোয়াডেই রয়েছেন মুকেশ। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড এখনও ঘোষণা হয়নি। এ বছর দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী করতে চাইছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই পরিকল্পনার অন্যতম অংশ মুকেশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুকেশ আরও বলছেন, ‘আমার স্বপ্ন এখন চোখের সামনে। সব সময়ই চাইতাম, দেশের জার্সিতে খেলব, টেস্ট ক্রিকেট খেলব। অবশেষে সেই জায়গায় পৌঁছলাম।’
বিহারের গোপালগঞ্জ থেকে কলকাতায় আসা। ট্যাক্সি চালানো। সিআরপিএফে যোগ দেওয়ার চেষ্টা। কিন্তু লক্ষ্য ছিল ক্রিকেট। স্থানীয় ক্লাবে খেলা, বাংলা দলে সুযোগ থেকে অবশেষে টেস্ট দলে। বাবা প্রয়াত হয়েছেন। তিনি অবশ্য শুরুর দিকে ক্রিকেটের বিরোধিতাই করেছেন। চাইতেন, মুকেশ সিআরপিএফ-এ যোগ দিক। আর্থিক নিরাপত্তাও মিলবে। সেখানে ব্যর্থ হন। ক্রিকেটে কিছু হয়ে ওঠার জন্য এক বছর সময় দিয়েছিলেন বাবা। এখন হয়তো সেই লক্ষ্যের অনেকটা সামনে।
মুকেশের উত্থানের নেপথ্যে বড় অবদান রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বাংলা ক্রিকেট সংস্থা তথা ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন প্রশাসক মুকেশের প্রতিভা চিনতে ভুল করেননি। বাংলা ক্রিকেট সংস্থার সচিব থাকাকালীন ‘ভিশন ২০২০’ চালু করেন। সেখানে বাংলার প্রাক্তন বোলিং কোচ রণদেব বসু বেছে নিয়েছিলেন মুকেশকে। ক্লাব ক্রিকেট, বাংলা দল হয়ে ভারতীয় এ দল। সুযোগ পেলেও দক্ষতা প্রমাণ করেছেন মুকেশ। আরও বলছেন, ‘আমি নিশ্চিত, বাবা এই উত্থান দেখলে খুশি হতেন। ভিশন ২০২০, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্যার, আমার গুরু রণদেব বসু স্যার সবসময় আমার পাশে থেকেছেন। ওদের সাহায্য ছাড়া আমি হয়তো টিকে থাকতে পারতাম না।’