Australia Cricketer : ক্রিকেটের বাইরে অজি ক্রিকেটারদের এই দিকগুলো জানতেন!
Australian Cricket Team : সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখছেন নাথান। অস্ট্রেলিয়ার মূক টিমের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে সেই টিমের মেন্টর হতে চান বলেই কমিউনিকেশন স্কিল বাড়াচ্ছেন লিয়ঁ।
লন্ডন: খেলার মাঠে স্টিভ স্মিথ, প্যাট কামিন্সদের পারফরম্যান্স নজর কাড়ে। ক্রিকেটের বাইরে তাঁরা কী করেন, কেই বা খোঁজ রাখে! কিন্তু আগ্রহ যে থাকে, তা বলাই যায়। প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। তেমনই কিছু খুঁজে বের করেছে যুক্তরাজ্যের প্রথম সারির দৈনিক Daily Mail. ক্রিকেটের বাইরে কার কী বিশেষত্ব! না, এখানে শুধু ক্রিয়েটিভ কাজের কথাই বলা হচ্ছে না। বরং ক্রিকেটের বাইরে তাঁরা তাঁদের মস্তিষ্ক কী ভাবে ব্যবহার করছেন, তা অবাক করার মতোই। প্যাট কামিন্স ও স্টিভ স্মিথের রিয়াল এস্টেটের ব্যবসা রয়েছে! কেউ বা ভালো কফি বানাতে পারেন। ভারত সফরে কফি বিনও নিয়ে গিয়েছিলেন। নিজের কফি কোম্পানি রয়েছে তাঁর। মাঠের বাইরে কয়েকজন অজি ক্রিকেটারের এই অজানা তথ্য তুলে ধরা হল TV9Bangla Sports-এর এই বিশেষ প্রতিবেদনে।
স্টিভ স্মিথ: ক্রিকেট মাঠে স্টিভ স্মিথের ব্যাটিং মুগ্ধ করার মতোই। নেতৃত্বের মস্তিষ্কও তুখোর। মাঠের বাইরে ইনভেস্টমেন্টের দিক থেকেও যে স্টিভ স্মিথের মস্তিষ্ক এত তুখোর! আইপিএলে গত দু-মরসুম রেজিস্ট্রেশনই করাননি স্মিথ। তবে আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটে খেলতে দেখা যাবে স্মিথকে। এ বার আসা যাক, ইনভেস্টের দিকে। ২০২১ সালে একটি বাড়ি কিনেছিলেন স্টিভ স্মিথ। সে সময় কিনেছিলেন ৬.৬ মিলিয়ন ডলারে। যা বিক্রি করেছেন ১২.৪ মিলিয়ন ডলারে। এটুকু সময়ের মধ্যেই ডবল দামে! বাড়িটি কেনার জন্য দু-জন রেডি ছিলেন। সবচেয়ে বেশি দর হাঁকিয়ে একজন সেটা কিনেছেন। বাড়িটিতে সুইমিং পুল, টেরেস, ডাইনিং রুম, বার, গেমস রুম, কী নেই! এমন বেশ কিছু উদাহরণ রয়েছে স্মিথের। নিউ ইয়র্কেও বাড়ি কিনে রেখেছেন স্মিথ। অবসরের পর নাকি সেখানেই পাকাপাকি সেটল হবেন!
প্যাট কামিন্স: এ বার আসা যাক কামিন্সের বিষয়ে। সচেতনতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কামিন্স পিছপা হন না। তেমনই প্রয়োজনে অর্থ দিয়েও সহযোগিতা করেন। আইপিএল খেলার সুবাদে ভারত তাঁর খুবই পছন্দের। কোভিডের সময় বড় অঙ্ক দিয়েছিলেন ভারতেও। এ বার তাঁর বিষয়ে আর একটু বলা যাক। তাঁরও রিয়াল এস্টেটে বিনিয়োগের শখ রয়েছে। সিডনিতে ৯.৫ মিলিয়ন ডলারের বাড়ি রয়েছে তাঁর। এ ছাড়াও ৯ মিলিয়ন ডলার এবং ১.৩ মিলিয়ন ডলারের আরও দুটি বাড়ি কিনে রেখেন কামিন্স।
ডেভিড ওয়ার্নার : অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ওয়ার্নার ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, কেরিয়ারের অন্তিম পর্বে রয়েছেন। ক্রিকেট ছাড়ার পর ফক্স স্পোর্টসে ফের ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা যাবে ওয়ার্নারকে। অতীতে বিগ ব্যাশে ধারাভাষ্য দিয়েছেন ওয়ার্নার। ভবিষ্যতে অন্যান্য টুর্নামেন্টেও দেখা যাবে ওয়ার্নারকে।
নাথান লিয়ঁ : অ্যাসেজের প্রথম টেস্ট চলছে। এজবাস্টনে প্রথম দিনই নজর কেড়েছেন অজি অফ স্পিনার নাথান লিয়ঁ। ক্রিকেটের বাইরেও অনবদ্য। সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখছেন নাথান। অস্ট্রেলিয়ার মূক টিমের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে সেই টিমের মেন্টর হতে চান বলেই কমিউনিকেশন স্কিল বাড়াচ্ছেন লিয়ঁ।
মার্নাস লাবুশেন: ইংল্যান্ডে গত অ্যাসেজে নজর কেড়েছিলেন মার্নাস লাবুশেন। অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ব্যাটিং কিটের সঙ্গে কফি মেশিন ও কফি বিনও সঙ্গে থাকে মার্নাসের। আইপিএলের আগে ভারতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির সময়ও সঙ্গে ছিল তাঁর। মার্নাস লাবুশেন কফি বানানো নিয়ে বিশেষ ট্রেনিংও নিয়েছেন। এমনকী তাঁর একটি কফি কোম্পানিও রয়েছে, যেটা রান ক্লাব নামে পরিচিত।