Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Virat Kohli: নম্বর অনেকের কাছেই রয়েছে, কেউ মেসেজ করেনি…একজন ছাড়া

MS Dhoni: কারও সঙ্গে এই যে শ্রদ্ধার সম্পর্ক থাকে, সেটা সত্যিই কী না, এমন পরিস্থিতিতেই বোঝা যায়। একটা নিঃস্বার্থ সম্পর্ক। না তিনি আমার কাছে কিছু চান, না তো আমি কিছু চাই তাঁর কাছে। কেউ কাউকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিনি। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাইছি, কাউকে কিছু বলার থাকলে সরাসরি তাঁকে বলাই পছন্দ করি।

Virat Kohli: নম্বর অনেকের কাছেই রয়েছে, কেউ মেসেজ করেনি...একজন ছাড়া
Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2022 | 6:30 AM

দুবাই : বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) এভাবে শেষ কবে সাংবাদিক সম্মেলনে দেখা গিয়েছে? এটাও ভেবে দেখার মতো বিষয়। সমালোচনার মহাসমুদ্রে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে ছিলেন বিরাট। গত কয়েকটা মাস। তাঁর মন্তব্য পাওয়া গিয়েছে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে। কালে-ভদ্রে কথা বলেছেন। অনেক অভিমান জমে ছিল। বাইরে তাঁর ব্যাটিং, মানসিকতা, ভারতীয় দলে (Team India) জায়গা পাওয়া নিয়ে অনবরত কাটাছেড়া হয়েছে। খারাপ সময়ে বন্ধু চেনা যায়। কোনটা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, উপলব্ধি করা যায়। বিরাট যেমন করেছেন। অনেকেই নানা জায়গায় বিরাটের ব্যাটিং নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য করেছেন। তাঁর কী করা উচিৎ এসব নিয়ে অনেক কথাই শোনা গিয়েছে। সরাসরি বিরাটকে একজনই বলেছেন। বিরাট কোহলির অধিনায়ক, মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)।

বিরাট কোহলি যখন সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছেন, দুবাইয়ের গ্যালারিতে তখনও সেলিব্রেশন চলছে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মহিমা এখানেই। খেলায় কেউ হারবে, আর এক দল জিতবে। উৎসব কিংবা হতাশা থিতিয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগে না। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রেশ থেকে যায় পরবর্তী ম্যাচ অবধি। এক-দু ঘণ্টা খুবই সামান্য সময়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে হার ভারতের। রেকর্ড রান তাড়া করে জিতেছে পাকিস্তান। আর এই রেকর্ড রান তাড়া করতে হয়েছে বিরাট কোহলির সৌজন্যেই। ৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংসে বার্তা ‘কিং কোহলি ইজ ব্যাক’। গত কয়েকটা মাসও কি একইরকম ছিল? একেবারেই নয়। বিরাট কোহলির পাশে ছিল সতীর্থদের কেউ এবং কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট। একজন কিন্তু তাঁর উপর ভরসা রেখে গিয়েছেন। যিনি ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির ব্যাটন দিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলিকে। মহেন্দ্র সিং ধোনি।

মাঠের বাইরে প্রবল সমালোচনার কিছুই কি কানে আসেনি বিরাটের? অবশ্যই এসেছে। হয়তো এমন একটা দিনের অপেক্ষা করছিলেন। মন খুলে কথা বলতে পারবেন। যেমন পাকিস্তান ম্যাচের পর বললেন। এই খারাপ সময়ে আপনার পাশে কে ছিল? একটা দীর্ঘশ্বাস। মুখে অন্যরকম হাসি। যেন জবাব দিতে চাইছেন, কিংবা বিদ্রুপ, অথবা অভিমানের কথা। তাঁর অভিব্যক্তির অনেক রকম অর্থ হতে পারে। বক্তব্য পরিষ্কার। বিরাট বললেন, ‘একটা কথা বলতে পারি, যখন আমি টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়ি, আমার কাছে একজনেরই মেসেজ এসেছিল। যার সঙ্গে আমি খেলেছি। এমএস ধোনি। অনেকের কাছেই আমার ফোন নম্বর রয়েছে। টিভিতে অনেকেই অনেক পরামর্শ দেন। তাঁদের কাছে বলার মতো অনেক কিছুই থাকে। আমার নম্বর থাকলেও তাঁদের কোনও মেসেজ আসেনি। কারও সঙ্গে এই যে শ্রদ্ধার সম্পর্ক থাকে, সেটা সত্যিই কী না, এমন পরিস্থিতিতেই বোঝা যায়। একটা নিঃস্বার্থ সম্পর্ক। না তিনি আমার কাছে কিছু চান, না তো আমি কিছু চাই তাঁর কাছে। কেউ কাউকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিনি। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাইছি, কাউকে কিছু বলার থাকলে সরাসরি তাঁকে বলাই পছন্দ করি। কাউকে সাহায্য করার ক্ষেত্রেও। অর্থাৎ, পুরো বিশ্বের সামনে পরামর্শ দিলে আমার কাছে কোনও গুরুত্ব নেই। যদি আমার উন্নতির জন্য কিছু বলার থাকে, সরাসরি আমাকে বলতেই পারেন। এমন নয় যে, আমার কিছু যায় আসে না। সততার সঙ্গে ক্রিকেটটা খেলার চেষ্টা করি। এরকম সময়ে সত্যিটা অনেক পরিষ্কার দেখা যায়।’ বিরাটের আঙুল কাদের দিকে, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলতেই পারে। সেই প্রবাদ যেন সত্যিই মানানসই তাঁর ক্ষেত্রে। খারাপ সময়ে বন্ধু চেনা যায়…।