Jewel Andrew: বল ছুড়েই খেলার সুযোগ! সিঙ্গল মমের ‘জুয়েল’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভরসা

ICC Under-19 World Cup: কয়েক বছর আগের কথা। বাউন্ডারির ধারে বল বয় জুয়েল। তাঁর দাদা ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু জুয়েলের খেলার অনুমতি নেই। কারণ, যারা খেলছিল তাদের টিমটা ছ-বছরের ছেলেদের নিয়ে গড়া। জুয়েল তখন চার বছরের! বল বয়ের দায়িত্ব সামলাতে হয়। বল ছুড়েই পরিস্থিতি পাল্টে গেল। কী ভাবে! কেউ একজন ছয় মেরেছিলেন। বাউন্ডারির বাইরে থেকে বল ছুড়েছিল জুয়েল। তা দেখেই কোচ বলেন, পরদিন থেকে সেও যেন খেলতে আসে!

Jewel Andrew: বল ছুড়েই খেলার সুযোগ! সিঙ্গল মমের 'জুয়েল' ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভরসা
Image Credit source: ICC
Follow Us:
| Updated on: Jan 25, 2024 | 9:00 AM

কলকাতা: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট। ভুল করে দু-বার লেখা হয়নি। আসলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সোনালী ইতিহাস লিখতে শুরু করলে শেষই হবে না। তেমনই বর্তমান পরিস্থিতির যে হতাশা সেক্ষেত্রেও। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটকে অবহেলাও করা যায় না। বিশ্ব ক্রিকেটে এত তাবড় বোলার-ব্যাটার উপহার দিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে এমনই একজন নজর কাড়ছেন। জুয়েল অ্যান্ড্রু। নামটা উল্টো হওয়া উচিত ছিল কি? ছেলের নাম যে এটাই রেখেছিলেন সিঙ্গল মাদার ভেরোনিক হিল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

কয়েক বছর আগের কথা। বাউন্ডারির ধারে বল বয় জুয়েল। তাঁর দাদা ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু জুয়েলের খেলার অনুমতি নেই। কারণ, যারা খেলছিল তাদের টিমটা ছ-বছরের ছেলেদের নিয়ে গড়া। জুয়েল তখন চার বছরের! বল বয়ের দায়িত্ব সামলাতে হয়। বল ছুড়েই পরিস্থিতি পাল্টে গেল। কী ভাবে! কেউ একজন ছয় মেরেছিলেন। বাউন্ডারির বাইরে থেকে বল ছুড়েছিল জুয়েল। তা দেখেই কোচ বলেন, পরদিন থেকে সেও যেন খেলতে আসে!

জুয়েলের মা ভেরোনিক হিল সিঙ্গল মাদার। মেয়েবেলায় বাবার সঙ্গে সাদা-কালো টিভিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের দাপট দেখেছেন। কোর্টনি ওয়ালস, কার্টলি অ্যামব্রোজদের বিধ্বংসী বোলিং দেখেছেন। ভেরোনিকের ইচ্ছে ছিল, জুয়েলও ক্রিকেটার হবে। কিন্তু বোলার নাকি ব্যাটার! ছেলে কিপার ব্যাটার। জুয়েলের আদর্শ শেই হোপ। অবশেষে আইকন ক্রিকেটারকে সামনে থেকে দেখার সুযোগ। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। পতাকা হাতে মাঠে ঢোকার সুযোগ এবং শেই হোপকে কাছ থেকে দেখেছিলেন জুয়েল।

পাড়ার ‘খারাপ সঙ্গ’ থেকে দূরে রাখতেই দুই ছেলেকে ক্রিকেট ক্লাবে নিয়ে যান ভেরোনিক। সিঙ্গল মাদার। ফলে তাঁর কাজটা সহজ ছিল না। ক্রিকেটের সরঞ্জামের দামটাও দেখতে হবে। একটি ছোট ব্যাগের দোকান থেকে এত অর্থ জোগার কঠিন। তবে বিভিন্ন সংগঠন আর্থিক সহায়তা করেছে ভেরোনিককে। সেই প্রতিদান দিতে প্রস্তুত জুয়েল! অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বড় স্কোর তাড়া করতে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জুয়েল একাই করেছিলেন ৯৬ বলে ১৩০। দল অবশ্য জেতেনি। পরের ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬০ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস জুয়েলের।

ভেরোনিক স্বপ্ন দেখছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট ‘জুয়েল’ পেতে চলেছে। আর মায়ের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তরুণ তুর্কির। পথ চলা সবে শুরু। এখনও অনেক কঠিন পথ পেরোতে হবে। স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি কী!