Virat vs Gambhir: বাচ্চারা কী শিখবে? বিরাট-গম্ভীরকে ব্যান করার দাবি সেওয়াগেরও
Gautam Gambhir : ১ মে লখনউয়ের একানা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের মধ্যে ঝামেলার রেশ এখনও চলছে। প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ কাউকে ছেড়ে কথা বললেন না।
কলকাতা: বিরাট কোহলি (Virat Kohli) বনাম গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) বিতর্ক নিয়ে বিতর্ক চলছে পুরোদমে। নেট দুনিয়া দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। কেউ বিরাটের দোষ দেখছেন কেউ আবার গম্ভীরের। আবার আইপিএলের মঞ্চে ভারতীয় ক্রিকেটের দুই আইকনের মারমুখী মেজাজ দেখে ব্যথিত। সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারদের কেউ কেউ কোহলি, গম্ভীরের নির্বাসনের দাবি তুলেছেন। তাঁদের মতে, বোর্ড বড়সড় শাস্তি না দিলে ভবিষ্যতেও এমন ঘটনা ঘটবে (IPL 2023)। শুধুমাত্র জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যাওয়া উচিত নয়। এই দাবিকে সর্বোতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগ। প্রকাশ্যে বিরাট-গম্ভীর বাদানুবাদ নিয়ে বেজায় বিরক্ত বীরু (Virender Sehwag)। লাখো ছেলেমেয়েরা যাঁদের আইকন হিসেবে দেখে, তাঁরা এমন কাণ্ড ঘটালে তরুণ প্রজন্ম কী শিখবে? প্রশ্ন বীরুর। একইসঙ্গে বলেছেন, বোর্ড যদি নির্বাসনের দিকে ঝোঁকে তাহলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা হয়তো আর ঘটবে না। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
দু’জনের কাউকে ছেড়ে কথা বললেনি সেওয়াগ। ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দু’জনই দেশের আইকন। বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরকে সাপোর্ট করে এমন অনেক বাচ্চা ছেলেমেয়েরা রয়েছে। ওদের দেখেই শেখে। সেই আইকনদের এমন আচরণ ঠিক নয়। বাচ্চারা ভাববে, ওরা যদি করতে পারবে তাহলে আমরাও পারব।” তিনি আরও বলেন, “ম্যাচের পর টিভি বন্ধ করে ঘুমোতে গিয়েছিলাম। সকালে উঠে দেখি সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই চলছে। যা ঘটেছে সেটা হওয়া উচিত ছিল না। পরাজিত দলের উচিত হার মেনে নিয়ে সরে যাওয়া এবং জয়ী টিমকে উদযাপনের সুযোগ করে দেওয়া। একে অপরের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন কী ছিল?”
দু’জনের কাউকেই ছেড়ে কথা বললেনি সেওয়াগ। ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দু’জনই দেশের আইকন। বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরকে সাপোর্ট করে এমন অনেক বাচ্চা ছেলেমেয়েরা রয়েছে। ওদের দেখেই শেখে। সেই আইকনদের এমন আচরণ ঠিক নয়। বাচ্চারা ভাববে, ওরা যদি করতে পারবে তাহলে আমরাও পারব।” তিনি আরও বলেন, “ম্যাচের পর টিভি বন্ধ করে ঘুমোতে গিয়েছিলাম। সকালে উঠে দেখি সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই চলছে। যা ঘটেছে সেটা হওয়া উচিত ছিল না। পরাজিত দলের উচিত হার মেনে নিয়ে সরে যাওয়া এবং জয়ী টিমকে উদযাপনের সুযোগ করে দেওয়া। একে অপরের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন কী ছিল?”
ঝামেলায় জড়িয়ে পড়া ক্রিকেটারদের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সেওয়াগ বলেন, “বিসিসিআই যদি কাউকে ব্যান করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে এমন ঘটনা খুব কম ঘটবে। আবার হয়তো ভবিষ্যতে নাও ঘটতে পারে। যা করার ড্রেসিংরুমের ভেতরে গিয়ে করোনা। মাঠের মধ্যে এমন ঘটনা মোটেও শোভা পায় না। আমার সন্তানরা ঠোঁটের ভাষা পড়তে পারে। তারা খুব ভালোমতো জানে ‘বেন স্টোকস’ কী। আমার সন্তানরা পারলে কাল অন্যরাও পারবে।”