India vs Bangladesh Match Preview: বাংলাদেশ বধে টার্গেট ১১-৪০, ভারতের বোলিং কম্বিনেশনে জোড়া ধোঁয়াশা
India vs Bangladesh in Champions Trophy 2025 Prediction: ভারতীয় দল সদ্য ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ খেলেছে। উল্টোদিকে বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে শেষ ম্যাচ খেলেছে গত বছরের শেষে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে খেলে এসেছেন। সেখানে অবশ্য হাইস্কোরিং ম্যাচই হয়েছে।

ওয়ান ডে ক্রিকেট! একটু বোরিং…। ২০২৩ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপে অবশ্য সেটা মনে হয়নি। কিন্তু কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এই ফরম্যাট এখন আর আগের মতো টানে না। বিশ্বকাপের পর এ বার মিনি বিশ্বকাপ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ফরম্যাটের দিক থেকে বিশ্বকাপের চেয়েও কঠিন। এখানে ভুল শোধরানোর সুযোগ নেই বললেই চলে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক প্রথম ম্যাচেই যেটা টের পেয়েছে। উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে হার পাকিস্তানের। খাদের কিনারায় আয়োজকরাই। আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অভিযান শুরু করছে ভারত-বাংলাদেশ।
ভারতীয় দল সদ্য ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ খেলেছে। উল্টোদিকে বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে শেষ ম্যাচ খেলেছে গত বছরের শেষে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সদ্য দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে খেলে এসেছেন। সেখানে অবশ্য হাইস্কোরিং ম্যাচই হয়েছে। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে ধৈর্য অনেক বেশি প্রয়োজন। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার সেরা সুযোগ তাই ১১-৪০।
ওয়ান ডে ফরম্যাটে পাওয়ার প্লে-র ১০ ওভারে অনেক সময় অতিরিক্ত জোর দেয় সব দলই। কিন্তু আসল খেলাটা তৈরি হয় ১১-৪০ ওভারের মধ্যেই। উইকেট না হারিয়ে এই সময়ে যতটা বেশি রান করা যায় বা প্রতিপক্ষকে রান করা থেকে আটকানো যায়, সেটাই আসল। আর ভারতীয় দল সেটা খুব ভালো ভাবেই পারে, সদ্য় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই তা করে দেখিয়েছে। ওপেনিংয়ে শুভমন গিল ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। রোহিত সেঞ্চুরি করেছেন। বিরাট কোহলি এক ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তবে মিডল অর্ডারে ভারতের ভরসা হয়ে দেখিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচেই দুর্দান্ত এবং কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। মিডল ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন শ্রেয়সই। ভরসা দিয়েছেন অক্ষর প্য়াটেলও। শেষ দশ ওভারের জন্য় হার্দিক পান্ডিয়ার মতো অলরাউন্ডার রয়েছেন। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াতে পারেন আইয়ার। তাঁর জন্য অবশ্য বাংলাদেশ অস্ত্র রেডি করেছিল। নাহিদ রানা। দুর্দান্ত গতি। বাউন্সারও দিতে পারেন। একটা সময় অবধি শ্রেয়সের শর্ট পিচ ডেলিভারি দুর্বলতা ছিল। তবে ইংল্যান্ডের মার্ক উডের বিরুদ্ধে শ্রেয়স যে আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করেছেন।
বোলিংয়ের দিক থেকে বলা যায়, বাংলাদেশের মিডল অর্ডারকে সামলানোর জন্য রবীন্দ্র জাডেজা, অক্ষর প্যাটেল থাকছেন। আর এক স্পিনার হিসেবে কুলদীপই এগিয়ে। তবে সদ্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ফরম্যাটে অভিষেক করা বরুণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। পরিসংখ্যান বলছে, গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপ থেকে এই অবধি ১২টি ওডিআইতে মিডল ওভারে (১১-৪০) বাংলাদেশ ৪.৯৩ রান রেটে স্কোর করেছে। ভারতের কাছে এই পরিসংখ্যানও কাজে দিতে পারে।
ভারতীয় পেস বোলিং কম্বিনেশনে হর্ষিত রানার একটা সম্ভাবনা থাকলেও পরিস্থিতি বলছে মহম্মদ সামির সঙ্গে স্পেশালিস্ট পেসার হিসেবে দেখা যাবে অর্শদীপ সিংকে। বুমরাকে ছাড়া বড় টুর্নামেন্ট। ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ। বোলিংয়ে নেতৃত্ব দেবেন সামিই। কেমন হতে পারে একাদশ?
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্য়াটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাডেজা, কুলদীপ যাদব/বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ সামি, অর্শদীপ সিং/হর্ষিত রানা।
