East Bengal: আবার সেই শ্রী সিমেন্টের দরজায় ইস্টবেঙ্গল!
১৬ অগস্ট থেকে শুরু ডুরান্ড কাপ। প্রথম ম্যাচই আবার ডার্বি। কি হবে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ?
কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল-ইমামি চূড়ান্ত সই (Contract) কবে হবে? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। দিনের পর দিন পার হয়ে যাচ্ছে, তবু সই হচ্ছে না। থমকে রয়েছে দলগঠন প্রক্রিয়াও। ইমামির অন্যতম কর্তাও শহরে ফিরে এসেছেন। সপ্তাহের শুরুতেই ইমামির কর্তাদের সঙ্গে দলগঠন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন ইস্টলেঙ্গল (East Bengal) ক্লাব কর্তারা। কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়াও নাকি শুরু হয়েছে। আবার মঙ্গলবার ক্লাবের তরফ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে অনুশীলন শুরু করার। কিন্তু সই না হলে যে ইনভেস্টরও (Investor) পা বাড়াচ্ছে না। সমর্থকদের মধ্যে আশঙ্কার চোরাস্রোত বেড়েই চলেছে। ১৬ অগস্ট থেকে শুরু ডুরান্ড কাপ। প্রথম ম্যাচই আবার ডার্বি। কী হবে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ?
এরই মধ্যে আবার প্রাক্তন ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের দ্বারস্থ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ক্লাবের কাছ থেকে এখনও ৭ লাখ টাকা পায় ফেডারেশন। সূত্রের খবর, সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্যই শ্রী সিমেন্টকে অনুরোধ ক্লাবের। ২০১৯-২০ মরসুমে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে না পারায় ইস্টবেঙ্গলকে নির্বাসিত করে ফেডারেশন। যা নিয়ে ফেডারেশনকে চিঠি পাঠিয়ে ক্লাব জানিয়েছিল, সেটা তাদের আগের ইনভেস্টর কোয়েসের বকেয়া। এর সঙ্গে তাঁরা জড়িয়ে নেই। তার ফল উল্টো হয়েছে। ফেডারেশন পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, ক্লাব লাইসেন্সিং ফেরত নেওয়ার সময় ইস্টবেঙ্গল উল্লেখ করেছিল, যাবতীয় দায়ভার ক্লাবের। তাই এই বকেয়া ক্লাবকেই মেটাতে হবে।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ওমিদ সিংয়ের বিষয়টা এখনও ফিফার ক্যাসে (কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস) ঝুলে আছে। ওমিদের ইরানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারছে না শ্রী সিমেন্ট। কারণ, ইরানের ব্যাঙ্কে সরাসরি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টাকা পাঠানো যায় না। তার জন্য ভারত সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে ওমিদকে। বিকল্প ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (অন্য দেশের) ওমিদ দিলেও, তাতে বকেয়া পাঠাতে রাজি নয় শ্রী সিমেন্ট। কারণ, ওমিদ নাকি অন্য একজনের নামের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দিয়েছেন। তাই সেই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর ঝুঁকি নিতে চায় না শ্রী সিমেন্ট।
সূত্রের খবর, ক্লাবের এই সমস্যার পুরোপুরি সমাধান না হলে চুক্তিপত্রে সই করতে চাইছে না ইনভেস্টর। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোম্পানি তৈরি হয়ে গেলেও, চূড়ান্ত সই সাবুদ তাই এখনও আটকে রয়েছে। এ দিকে শুক্রবার ক্লাবের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা প্রাক্তন ফুটবলারদের।