England Football: ইউরো ফাইনালে বর্ণবিদ্বেষ, গ্রেফতার এক ইংল্যান্ড সমর্থক
জোনাথন বেস্ট। ৫২ বছরের এই ব্যক্তি পোস্ট করেছিলেন ১৮ সেকেন্ডের এক বর্ণবিদ্বেষমূলক ভিডিও। যা নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল ঝড়ের গতিতে। তাকে আটক করেই শুরু হয় তদন্ত।
লন্ডন: ঘটনা আজকের নয়। মাস দুয়েক আগে হয়ে যাওয়া ইউরো কাপ (Euro Cup) ফাইনালের। ইংল্যান্ডের ঘরের মাঠে টাই ব্রেকারে ফাইনাল জিতে ইউরো কাপ রোমে নিয়ে গিয়েছিল ইতালি (Italy)। স্বপ্ন ভেঙেছিল লক্ষ লক্ষ ইংল্যান্ড (England) সমর্থকের। আর এই সুযোগেই বর্ণবিদ্বেষের (racial abuse) নখ-দাঁত নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন ইংল্যান্ডের এক শ্রেণীর সমর্থক। প্রতিপক্ষের কোনও ফুটবলার নয়, তাদের নিশানায় ছিলেন ইংল্যান্ডের দলেরই তিন কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলার। বুকায়ো সাকা (Bukayo Saka), জার্দেন স্যাঞ্চো (Jadon Sancho) ও মার্কাস র্যাশফোর্ড (Marcus Rashford)। তিন জনই টাই ব্রেকারে মিস করেছিলেন পেনাল্টি। একে ম্যাচ হারের যন্ত্রণা। তার সঙ্গে র্যাশফোর্ড, স্যাঞ্চোদের সঙ্গী হয়েছিল নিজের দেশের সমর্থকদের ব্যবহার। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা। ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশন সাকাদের পাশে থেকে বিবৃতি জারি করেছিল। সমর্থকেদর এমন আচরণ যে মেনে নেওয়া হবে না সেটাও জানানো হয়েছিল সেই বিবৃতিতে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল প্রশাসন। আর সেই তদন্তেই জেলে পাঠানো হল ৫২ বছরের এক ব্যক্তিকে।
জোনাথন বেস্ট। ৫২ বছরের এই ব্যক্তি পোস্ট করেছিলেন ১৮ সেকেন্ডের এক বর্ণবিদ্বেষমূলক ভিডিও। যা নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল ঝড়ের গতিতে। তাকে আটক করেই শুরু হয় তদন্ত। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজের পোস্ট মুছে ফেলতেও অস্বীকার করেন সেই ব্যাক্তি। বলেছিলেন, ‘আমার প্রোফাইল আমার যা ইচ্ছে সেটাই করতে পারি।’ বিচার প্রক্রিয়ায় আদালত জানায়, যে শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে তা সামজের জন্য ক্ষতিকারক। ইউরো ফাইনালে অশান্তি পাকানোর জন্য অগাস্ট মাসের পর ১১ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
যদিও গ্রেফতারি বা শাস্তির পরও হুঁশ ফিরছে না একশ্রেণীর মানুষের। ইংল্যান্ড ফুটবলারদের ইউরো কাপের পরও বর্ণবিদ্বেষের লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়েছে। সেপ্টেম্বরে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের ম্যাচ খেলতে গিয়ে বর্ণবিদ্বেষের মুখে পড়েন থ্রি লায়ন্স ফুটবলাররা। হাঙ্গেরি ফুটবল ফেডারেশনকে শাস্তি হিসেবে দুটি ম্যাচ দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে খেলার নির্দেশ দেয় ফিফা। সঙ্গে হয় বিপুল আর্থিক জরিমানা।
ফিফা থেকে সব ফুটবল বোর্ড, বলা ভালো গোটা ক্রীড়া বিশ্ব চেষ্টা করে চলেছে খেলার দুনিয়া থেকে বর্ণবিদ্বেষের কালো ছায়া মুছে ফেলতে। কিন্তু কিছুতেই সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এ বারের টি-২০ বিশ্বকাপেও কৃষ্ণাঙ্গ বিপ্লবের সমর্থনে হাঁটু মুড়ে বসতে দেখা যাচ্ছে সব দেশের ক্রিকেটারদের।