PELE: প্রথম গোল থেকে অবসর-টাইমমেশিনে ফিরে দেখা ফুটবল সম্রাটকে…

কলকাতা : ফুটবল এবং পেলে। বিশ্ব ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার। যাঁকে দেখে অনেক প্রজন্মের বেড়ে ওঠা। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মাঝ রাতে প্রয়াত হয়েছেন ফুটবল সম্রাট পেলে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন পেলে। ফিফা বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ম্যাচও দেখেছেন হাসপাতালে থেকেই। কিন্তু আশঙ্কা বাড়তে থাকে। তাঁকে জীবনদায়ী বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। বড় দিনের আগে তাঁর পরিবারের সকলেই হাসপাতালে উপস্থিত হন। হাসপাতালের বেডেই বড় দিন কাটে কিংবদন্তি পেলের। পরিবারের সকলে তারপরও হাসপাতালেই থাকায় আতঙ্ক বাড়তে থাকে। কোলন ক্যান্সার এবং মাল্টিপল অর্গ্যান ফেল। এই রোগের ডিফেন্সকে পেরিয়ে গোল করতে পারলেন না কিংবদন্তি। তবে ওই যে, কিংবদন্তির মৃত্যু হয় না।

TV9Bangla-র পাশাপাশি সমস্ত ফুটবলপ্রেমীদের টাইম লাইনে থেকে যাক পেলের সমস্ত তথ্য়-

1. জন্ম : ২৩ অক্টোবর, ১৯৪০
2. জন্মস্থান : ত্রেস কোরাসোয়েস, মিনাস গেরাইস, ব্রাজিল
3. নাম : এডসন আরান্টেস ডু নাসিমেন্টো
4. ডাকনাম : পেরোলা নেগরা, ও রেই, ডিকো
5. বাবা : জোয়াও ব়্যামোস ডু নাসিমেন্টো, পরিচিত ছিলেন ‘ডন্ডিনহো’ নামে, তিনিও ফুটবলার ছিলেন।
6. মা : সেলেস্তে আরান্টেস ডু নাসিমেন্টো
7. ম্য়ারেজ : মার্সিয়া সিবেলে আওকি (২০১৬-বর্তমান স্ত্রী), আসিরিয়া লেমোস (১৯৯৪-২০১৪, ডিভোর্স, রোজমেরি চোলবি ১৯৬৬-১৯৭৮, ডিভোর্স)
8. সন্তান : কেলি, এডসন, জেনিফার, সান্ড্রা, ফ্লাবিয়া ক্রিশ্চিনা, জোশুয়া, সেলেস্তে

টাইমলাইন

1. সেপ্টেম্বর ৭, ১৯৫৬- পেশাদার ফুটবলে স্য়ান্টোসের হয়ে প্রথম ম্যাচ এবং প্রথম গোল।
2. ১৯৬৭- নাইজেরিয়ার গৃহযুদ্ধ চলছিল। পেলের টিম স্যান্টোস নাইজেরিয়া সফরে যায়। পেলের খেলা দেখার জন্য দু-দিনের যুদ্ধবিরতি ছিল।
3. ১৯ নভেম্বর, ১৯৬৯- কেরিয়ারের সহস্রতম গোল করেছিলেন ৯০৯ প্রথম শ্রেনির ম্যাচে।
4. ১৯৭৪- অবসর ঘোষণা করেন।
5. ১৯৭৫- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবলের প্রচারের স্বার্থে সই করেন নিউ ইয়র্ক কসমসে।
6. ১ অক্টোবর, ১৯৭৭- কসমস এবং স্য়ান্টোসের একটি প্রীতি ম্যাচ দিয়ে ফুটবলকে বিদায় জানান। প্রথমার্ধে খেলেন কসমসের হয়ে, দ্বিতীয়ার্ধে স্যান্টোসের হয়ে।
7. ১৯৭৮- আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার পান।
8. ১৯৯৩- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফুটবলের ‘হল অব ফেমে’ অন্তর্ভূক্তি
9. ১৯৯৫-১৯৯৮- ব্রাজিলের ক্রীড়ামন্ত্রী পদে ছিলেন।
10. ৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৭- ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সাম্মানিক নাইটহুড উপাধি দেন পেলেকে।
11. ১৯৯৮- ব্রাজিল ফুটবলে দুর্নীতি রুখতে একটি আইন প্রবর্তন করা হয় ‘লেই পেলে’ নামে। যা ২০০১ সালে লাগু হয়।
12. ১৯৯৯-আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার পক্ষ থেকে পেলেকে শতাব্দীর সেরা অ্যাথলিট ঘোষণা করা হয়।
13. ২০০০- বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা পেলেকে শতাব্দীর সেরা প্লেয়ারের তালিকায় রাখে। এই তালিকায় রয়েছেন দিয়েগো মারাদোনাও।
14. ২০১৩- মোস্ট কেরিয়ার গোল এবং সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ জয় গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জোড়া শংসাপত্র পান।
15. ২০১৪- বছর দুয়েক আগে কোমরের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এরপর কিডনিতে স্টোন বের করা হয়। ইউরিনারি ইনফেকশনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্য়ান্টোসের গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডর হিসেবে যুক্ত হন।
16. ২০১৫- প্রস্টেট সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। দু-দিন পরই বাড়ি ফেরেন।
17. ৫ অগস্ট, ২০১৬- রিও অলিম্পিকের আয়োজকদের তরফে ঘোষণা করা হয় অসুস্থতার জন্য অলিম্পিক মশাল ধরাবেন না পেলে।
18. ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮- পেলে ফাউন্ডেশন তৈরি করেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য এই সংস্থা।
19. ৩ এপ্রিল, ২০১৯- ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের জন্য প্যারিসের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
20. ৯ এপ্রিল, ২০১৯- দেশে ফিরে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি হন। কিডনি স্টোনের কারণে ইউরিনারি ইনফেকশন, চারদিন পর অস্ত্রোপচার হয়, তার দু-দিন বাড়ি ফেরেন।
21. ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১- পেলেকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রিলিজ হয়।
22. ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১- পেলে ঘোষণা করেন, কোলনে টিউমারের জন্য তাঁর অস্ত্রোপচার হয়।
23. ৮ ডিসেম্বর, ২০২১- সাও পাওলোর হাসপাতালের তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, কেমোথেরাপির জন্য পেলেকে ভর্তি করা হয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর পেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেন, তিনি হাসপাতাল থেকে ফিরেছেন।
24. ১৯ জানুয়ারি, ২০২২- ফের হাসপাতালে ভর্তি হন পেলে। এরপর নিয়মিত ভাবে চিকিৎসার জন্য যেতে হয়েছে।
25. ২ ডিসেম্বর, ২০২২- অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, রেসপিরাটরি ইনফেকশনের জন্য চিকিৎসা চলছে পেলের।
26. ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২- লড়াই শেষ। প্রয়াত পেলে। স্থানীয় সময় দুপুর ৩.২৭ নাগাদ সরকারি ঘোষণা।