Pele-Garrincha: পেলে-গ্যারিঞ্চা, ব্রাজিলের হার না মানা অমর জুটি
পেলে-গ্যারিঞ্চা জুটিকে অমর জুটিও বলা যায়। ব্রাজিলের হয়ে ৪০টি ম্যাচে ৩৬টি ম্যাচেই জয়।
রিও ডি জেনেইরো: পড়ে রইল রাজত্ব, রাজপাট। চলে গেলেন ফুটবলের রাজা। ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে ৮২ বছরের ফুটবল কিংবদন্তি পেলের (Pele)। পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন ভোরের অপেক্ষায় বিশ্ববাসী। তেইশের নতুন সূর্য দেখার সুযোগ হয়নি। ব্রাজিলের প্রিয় ‘ও রেই’ পৌঁছে গিয়েছেন তাঁর মানে’র কাছে। পরলোকে ৪০ বছর ধরে যিনি অপেক্ষায় রয়েছেন। ম্যানুয়েল ফ্রান্সিসকা ডুস স্যান্টোস, যাঁকে আমরা গ্যারিঞ্চা বলে চিনি। ব্রাজিলের অবিস্মরণীয় পেলে-গ্যারিঞ্চা (Pele-Garrincha) জুটি। যাঁরা এক যোগে কোনওদিন একটি ম্যাচও হারেনি। কেমন ছিল এই জুটি? তুলে ধরল TV9Bangla।
পেলে-গ্যারিঞ্চা জুটিকে অমর জুটিও বলা যায়। ব্রাজিলের হয়ে ৪০টি ম্যাচে ৩৬টি ম্যাচেই জয়। ৫৫টি গোলের মধ্যে ৪৪টি পেলে ও ১১টি গ্যারিঞ্চার। রিও ডি জেনেইরোর ক্লাব বোটাফোগোর আইডল ব্রাজিলের হয়ে ৬৪ শতাংশ গোলই করেছেন পেলে পাশে থাকাকালীন। পার্টনারশিপ খেতাবও এনে দিয়েছে। ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপের মঞ্চে পেলে-গ্যারিঞ্চা অমর জুটির শুরু। ১৯৫৮ সালের পর ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপ জয়। ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের প্রথম দুই বিশ্বকাপ।
শুরুটা হয়েছিল সুইডেনে, পেলের রাজ-অভিষেক। ১৬ বছরের কিশোরের ফুটবল বিশ্বকাপ জেতা হয়ে গিয়েছে। টুর্নামেন্টে ছয়টি গোল এবং ঝুলিতে বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান তারকার পুরস্কার। চার বছর পর ১৯৬২ সালে প্রচারের আলো কেড়ে নেওয়ার পালা গ্যারিঞ্চার। চেকোস্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচ পেলেকে খেলানো হয়নি। ‘রাজা’র অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন গ্যারিঞ্চা। মোট চারটি গোল। বিশ্বকাপও সেলেকাওদের হাতে। ১৯৭১ সালে অফিসিয়ালি ব্রাজিলের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন পেলে। তা সত্ত্বেও দু’বছর পর ফের হলুদ জার্সি গায়ে তুলেছিলেন শুধুমাত্র জাতীয় দলে তাঁর ফেভারিট সঙ্গীর জন্য। ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন ১৯৭৩ সালে গ্যারিঞ্চার জন্য বিদায়ী ম্যাচের আয়োজন করে। দুটো বছর ব্রাজিলের জাতীয় দল থেকে দূরে থাকার পরও মারাকানায় দেড় লাখ দর্শকের উপস্থিতিতে মাঠে নেমেছিলেন পেলে।
ম্যাচের কী হয়েছিল? অবশ্যই মানে -‘ও রেই’ জুটির জয়। ব্রাজিল জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। গোল এসেছিল পেলের পায়ে। আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে খেলেছিলেন গ্যারিঞ্চা। অমর জুটির শেষবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে নামা। এখন হয়তো আরও এক বার জুটি বাঁধবেন, তবে এই জগতে নয়…।