Gabriel Martinelli: চতুর্থ ডিভিশন থেকে আর্সেনালে, ব্রাজিলের নতুন স্বপ্ন মার্তিনেলিকে নিয়ে!
Brazilian Striker: ব্রাজিলিয়ান তারকা গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলি। ২১ বছরের এই স্ট্রাইকারকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে।
রিও দে জেনেইরো: নতুন প্রতিভার সঙ্গে বিশ্বের পরিচয় হওয়ার অন্যতম মঞ্চ হয়ে ওঠে ফুটবল বিশ্বকাপ। বিভিন্ন দেশের উঠতি ফুটবলাররা নিজেদের জাত চিনিয়ে দেন বিশ্বকে। ভবিষ্যতের তারকাকেও খুঁজে দেয় ফুটবলের এই মঞ্চ। কাতার বিশ্বকাপেও তার অন্যথা হবে না। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন তরুণ ফুটবলারের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ব্রাজিলিয়ান তারকা গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলি। ২১ বছরের এই স্ট্রাইকারকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। কী ভাবে বিশ্বকাপের মঞ্চে পৌঁছলেন তিনি, তুলে ধরল TV9 Bangla।
ব্রাজিলের চতুর্থ ডিভিশনে খেলতেন মার্তিনেলি। গত বছর রাশিয়ায় যখন বিশ্বকাপ খেলছে তখন মার্তিলেনির বয়স মাত্র ১৭। সাও পাওলোর ক্লাব ইতুরানোতে খেলতেন তিনি। ২০১৫ সালে ওই ক্লাবে যোগ দেন তিনি। সেখানে ৪০ মাস খেলার পরই ইংল্য়ান্ডের ক্লাব আর্সেনালের নজর পড়ে এই তরুণ স্ট্রাইকারের দিকে। ২০১৯ সালে ৬০ লক্ষ ইউরোর চুক্তিতে আর্সেনালে আসেন মার্তিনেলি। এর পর থেকেই ফুটবল বিশেষজ্ঞদের নজরে এসে গিয়েছেন ওই ব্রাজিলীয়। আর্সেনালে পা দিয়েই সাফল্য আসেনি। প্রথম দলে সুযোগ মিলত না শুরুতে। রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকতে হত। অ্য়াকাডেমির দলে খেলতেন। এ বছর প্রিসিজনের সময় তাঁর গতি, বুদ্ধিমত্তা এবং সক্ষমতায় মুগ্ধ হন গানার্সদের কোচ। এর পর এই মরসুম থেকেই আর্সেনালের প্রথম একাদশে নিজের জায়গা পাকা করেছেন এই ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার।
২১ বছরের মার্তিনেলির প্রশংসা শোনা গিয়েছে আর্সেনাল কোচ উনাই এমারিরর গলায়। তিনি বলেছেন, “মার্তিনেলি তরুণ খেলোয়াড়। এখানে আসার পর আমরা ওকে দেখেছি। খুবই উন্নতি করেছে। খুব ভাল খেলছে। খুব উৎসাহ নিয়ে প্রতিটা ট্রেনিং করে।” মার্টিনেলির খেলার খিদেও মুগ্ধ করেছে আর্সেনাল কোচকে। তিনি বলেছেন, “ও ভীষণ লড়াকু ফুটবলার। প্রথম দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। আর সুযোগ পেলেই নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে।”
সীমিত সুযোগ পেয়েও প্রথম এক মাসের মধ্য়ে আর্সেনালের হয়ে তিনটি গোল করেছেন মার্তিনেলি। এমনকি কারাবাও কাপে লিভারপুলের বিরুদ্ধে ম্যাচে লিভারপুল কোচ যুরগেন ক্লপের নজরে পড়েছেন। ক্লপের মুখেও মার্তিনেলির প্রশংসা শোনা গিয়েছে। ক্লপ এই ব্রাজিলীয়কে ‘আসাধারণ স্ট্রাইকার’ও বলেছেন।
কাতারে মার্তিনেলিকে ঘিরে আশা বাড়ছে ব্রাজিলীয়দের। ২০০২ সালের রোনাল্ডিনহোকে যে ভাবে চিনেছিল গোটা বিশ্ব, তার পুনরাবৃত্তি মার্তিনেলির ক্ষেত্রেও হয় কি না, বোঝা যাবে দোহার মাঠে!