East Bengal Watch: ‘পাখি পাকা পেঁপে খায়’, কী হাল হল হিজাজিদের? রইল ভিডিয়ো
East Bengal Footballer Tongue Twister: কলকাতা ময়দানে যেমন বিদেশি ফুটবলার রয়েছেন, তেমনই ভিন রাজ্যেরও। তবে বাংলায় থাকতে থাকতে ময়দানের 'হাওয়া' তাঁদের গায়ে লেগেই যায়। বিদেশি ফুটবলাররাও অনেক বাংলা শব্দ শিখে যান। তাঁদের মুখে কিছু জিনিস শুনতে যেন বাড়তি আনন্দ হয়। খেলার চাপ থাকেই। ম্যাচের ভাবনা, প্র্যাক্টিস, ব্যস্ততার বাইরে প্লেয়ারদের কিছু বন্ডিং সেশনও থাকে। তেমনই একটা মজার মুহূর্ত তৈরি হল ইস্টবেঙ্গলের টিম বাসও প্র্যাক্টিস সেশনে।

বাংলা টাং টুইস্টার প্রসঙ্গ উঠলে, সবার আগে যেন আমাদের এটাই মনে পড়ে। এক নাগাড়ে বলে যেতে হবে, ‘পাখি পাকা পেঁপে খায়।’ স্কুল-কলেজ জীবনে বা সহজ করে বললে ছেলেবেলা এবং কৈশোরেও টাং টুইস্টারে মজে যেতে পিছপা হয় না বাঙালি। অনেকে এক নাগাড়ে এই কথাগুলি বলে যেতে পারতেন। আবার অনেকের পাখি-পাপড় পরিস্থিতিও তৈরি হত। আচ্ছা, বাংলার বাইরের ফুটবলারদের কী হাল হতে পারে! ইস্টবেঙ্গলে এমনই এক মজার মুহূর্ত। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কলকাতা ময়দানে যেমন বিদেশি ফুটবলার রয়েছেন, তেমনই ভিন রাজ্যেরও। তবে বাংলায় থাকতে থাকতে ময়দানের ‘হাওয়া’ তাঁদের গায়ে লেগেই যায়। বিদেশি ফুটবলাররাও অনেক বাংলা শব্দ শিখে যান। তাঁদের মুখে কিছু জিনিস শুনতে যেন বাড়তি আনন্দ হয়। খেলার চাপ থাকেই। ম্যাচের ভাবনা, প্র্যাক্টিস, ব্যস্ততার বাইরে প্লেয়ারদের কিছু বন্ডিং সেশনও থাকে। তেমনই একটা মজার মুহূর্ত তৈরি হল ইস্টবেঙ্গলের টিম বাসও প্র্যাক্টিস সেশনে। জামশেদপুরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আজ জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচ। তার আগে টাং টুইস্টারের ম্যাচ হল।
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের অন্যতম পছন্দের ফুটবলার হয়ে উঠেছেন বিদেশি ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের। তাঁর পারফরম্যান্স এবং সমর্থকদের সঙ্গে আচরণ সবই মুগ্ধ করার মতো। টিম বাসে তাঁকে টাস্ক দেওয়া হয়। তাঁকে বলতে বলা হয়, ‘পাখি পাকা পেঁপে খায়’ এই টাং টুইস্টার। আগে কি প্র্যাক্টিস করে নিয়েছিলেন? হয়তো। তবু একজন বিদেশির পক্ষে প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকারদের সামলানোর চেয়ে এটা যে কঠিন কাজ, বলাই যায়। হিজাজি মাহের কিন্তু হার মানেননি। মুখে সেই পরিচিত হাসি বজায় রেখে স্পষ্ট উচ্চারণে বললেন, ‘পাখি পাকা পেঁপে খায়।’
ইস্টবেঙ্গলে রয়েছেন ভিন রাজ্যের দুই ফুটবলার মন্দার রাও দেশাই ও এডউইন বংশপল। তাঁদেরও এই টাস্ক দেওয়া হয়েছিল। সকলকে ছাপিয়ে গেলেন এডউইন। হিজাজির সঙ্গে ওদের সিলেবাস মেলেনি। মন্দারকে বলতে বলা হয়, ‘রুই মাছের লেজ লাল।’ সাবলীল ভাবে বলে দেন মন্দার। কিন্তু এডউইন! তিনি প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই উত্তর কমপ্লিট করে ফেললেন! তাঁর কাজটাই সবচেয়ে কঠিন ছিল।
How well did our polas ace the 𝐁𝐞𝐧𝐠𝐚𝐥𝐢 𝐓𝐨𝐧𝐠𝐮𝐞 𝐓𝐰𝐢𝐬𝐭𝐞𝐫𝐬 challenge❓
Watch till the end! 😎😂#JoyEastBengal #EastBengalFC #InternationalMotherLanguageDay pic.twitter.com/W49fdnksY4
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) February 21, 2024
এডউইনকে শুধু বলা হয় বারো হাঁড়ি রাবড়ি, তিনি নিজেই থামিয়ে দিলেন। এরপর পুরো বাক্যটা নিজেই কমপ্লিট করেন। স্পষ্ট উচ্চারণে বলেন, ‘বারো হাঁড়ি রাবড়ি, বড় বাড়াবাড়ি’। শুধু ‘বড়’ উচ্চারণটা করলেন ‘বোড়ো’। প্রশ্ন থামিয়ে যিনি একটা টাং টুইস্টার এভাবে বলতে পারেন, সেরার পুরস্কার যেন সেই এডউইনেরই প্রাপ্য।





