EAST BENGAL CHAOS: লাল হলুদ বিক্ষোভে নীল সাদা রং !
দু পক্ষের এই বাগবিতন্ডার মাঝেই বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিল্লি থেকে একবার্তায় দিলীপ ঘোষের মন্তব্য,"গত বছর ভোট ছিল। তাই দুপক্ষকে নবান্নে বসিয়ে মৌ স্বাক্ষর করাতে মধ্যস্থতা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই চুক্তি আজ ডেথ ওয়ারেন্টে পরিণত হয়েছে।"
রক্তিম ঘোষ
কলকাতাঃ ময়দানে নজিরবিহীন বিক্ষোভ। লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর একপ্রান্তে শাসক ঘনিষ্ঠ ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। অন্যদিকেও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। তবে তাঁরা শাসক বিরোধী। বিরোধিতা শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে। আর তার মাঝেই রং নিয়েই সরগরম ময়দান। লাল হলুদের বুধবারের বিক্ষোভে নীল সাদা রংয়ের ব্যান্ড পরে হাজির শাসক শিবিরের সমর্থকরা। কেন? নীল সাদা রং তো এ বাংলার রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে সেই রঙে কেন ব্যান্ড বেঁধে বিরোধী শিবিরকে আটকাতে নামলেন শাকঘনিষ্ঠ সমর্থকরা?
শাসক শিবিরের সমর্থকদের দাবি, এখানে কোনও রাজনীতি খুঁজবেন না। রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তাঁদের এই পাল্টা বিক্ষোভে। তাহলে লাল হলুদের বিক্ষোভে নীল সাদা রং কেন? শাসক ঘনিষ্ঠ সমর্থকদের একাংশের দাবি, যাঁরা ক্লাবে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিলেন তাঁদের থেকে আলাদাভাবে চিহ্ণিত হওয়ার জন্যই এই নীল সাদা রিবন বেঁধেছেন তাঁরা। আরেক অংশের বক্তব্য, সাদা হল শান্তির প্রতীক। তাই ঝগড়, বিতন্ডা ভুলে তাঁরা শান্তি চান।
দু পক্ষের এই বাগবিতন্ডার মাঝেই বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিল্লি থেকে একবার্তায় দিলীপ ঘোষের মন্তব্য,”গত বছর ভোট ছিল। তাই দুপক্ষকে নবান্নে বসিয়ে মৌ স্বাক্ষর করাতে মধ্যস্থতা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই চুক্তি আজ ডেথ ওয়ারেন্টে পরিণত হয়েছে। লক্ষ লক্ষ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আজ অন্ধকারে তাঁরা কি আইএসএল খেলবে কিনা, তা নিয়ে।”
বুধবারের ময়দানের এই নজিরবিহীন ঘটনায় এবার লাগল রাজনীতির রং। জল শেষপর্যন্ত কোন দিকে গড়ায়, তার অপেক্ষায় গোটা ময়দান।