Royal Enfield তার প্রথম ইলেকট্রিক বাইক নিয়ে আসছে খুব শিগগিরই, লুক ও ফিচার্স কেমন, দেখুন
রয়্যাল এনফিল্ডের সিইও বি গোবিন্দরাজন বলছেন, তাঁর সংস্থার ই-বাইকটি 'চমৎকার ও ঝক্কিহীন' হতে চলেছে। জ়িরো-এমিসন বা শূন্য-নির্গমন যানবাহন ব্যবসাটি মূলধন ব্যয়ের অংশ হিসেবে বরাদ্দকৃত 1,000 কোটি টাকার একটা বড় অংশ পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Royal Enfield যে অনেক দিন ধরেই একাধিক রেঞ্জের ইলেকট্রিক বাইক নিয়ে কাজ করছে, তার মধ্যে আর লুকোছাপা কিছু নেই। ভারতের বাজার তো বটেই, আন্তর্জাতিক বাজারেও লঞ্চ করবে রয়্যাল এনফিল্ডের ইলেকট্রিক বাইকগুলি। তারই মধ্যে একটি রয়্যাল এনফিল্ড ই-বাইকের প্রোটোটাইপ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে বাইকটির একাধিক তথ্য জানা গিয়েছিল। Eicher Motor এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ লাল রয়্যাল এনফিল্ড ইলেকট্রিক বাইক সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানিয়েছিলেন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ব্র্যান্ডের ভবিষ্যতের প্ল্যানে ইলেকট্রিক ভেহিকলের বিরাট ভূমিকা থাকবে।
তবে হ্যাঁ, এটুকু নিশ্চিত করে বলাই যায় যে, আলাদা কোনও কোম্পানি তৈরি করে ইলেকট্রিক বাইক লঞ্চ করার পথে হাঁটতে চাইছে না রয়্যাল এনফিল্ডের প্যারেন্ট সংস্থা Eicher Motor। তবে তার আগে চেন্নাইয়ের টু-হুইলার প্রস্তুতকারক সংস্থাটি সম্ভাব্য সব বিকল্প ঘেঁটে দেখতে চাইছে। সম্প্রতি একটি আর্নিংস কলে সিদ্ধার্থ লাল স্বীকার করে নিয়েছেন, দেশে ইভির ভবিষ্যতে অনেকখানি জুড়েই থাকবে Eicher Motor এবং Royal Enfield।
ব্র্যান্ডটি সম্প্রতি ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, কন্ট্রোলার এবং ইলেকট্রিক মোটরের জন্য সাপ্লায়ার পার্টনারদের শর্টলিস্ট করার কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে। রয়্যাল এনফিল্ডের সিইও বি গোবিন্দরাজন বলছেন, তাঁর সংস্থার ই-বাইকটি ‘চমৎকার ও ঝক্কিহীন’ হতে চলেছে। জ়িরো-এমিসন বা শূন্য-নির্গমন যানবাহন ব্যবসাটি মূলধন ব্যয়ের অংশ হিসেবে বরাদ্দকৃত 1,000 কোটি টাকার একটা বড় অংশ পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রয়্যাল এনফিল্ডের প্রথম ইলেকট্রিক বাইকটি কবে নাগাদ বাজারে আসতে পারে? গোবিন্দরাজন বলছেন, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে টেস্ট মিউল বাজারে আনা ইস্তক একাধিক কাজে গতি আনতে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি নতুন দল নিযোগ করা হয়েছে। যদিও তিনি সেই এনফিল্ড ই-বাইকের লঞ্চ টাইমলাইন সম্পর্কে কিছু জানাননি। তবে ইঙ্গিত মিলেছে, এখন থেকে আর দুই বছরের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে রয়্যাল এনফিল্ড ইলেকট্রিক বাইক।
রয়্যাল এনফিল্ড তাদের বর্তমান প্রোডাকশন ফেসিলিটিতে 1-1.5 লাখ ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। তামিলনাড়ুর ছেয়ারে নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটটি তৈরি হওয়ার আগে পর্যন্ত এই ভাবেই ইলেকট্রিক ভেহিকল প্রস্তুত করতে চাইছে ব্র্যান্ডটি। এদিকে সংস্থার পাইপলাইনে 350 cc, 450 cc এবং 650 cc-র বাইক রয়েছে। তার পাশাপাশিই আবার একটি 440 cc এবং আর একটি 750 cc-র বাইক নিয়েও কাজ করছে Royal Enfield।