করোনা আবহে মনের ভাব প্রকাশে ইমোজিই ভরসা, চালু হতে পারে নতুন হ্যান্ডশেক ইমোটিকন
শুনতে সহজ লাগলেও, নতুন ইমোজি তৈরি করা কিন্তু বেশ পরিশ্রমসাধ্য কাজ। গত বছর ইমোজিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কেরেমি বার্গ জানিয়েছিলেন, একটা ইমোজি তৈরি করতে প্রায় ২ বছর পর্যন্ত সময় লেগেছে।
দেশজুড়ে চলছে করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই খবর পাওয়া গিয়েছে যে, আসতে পারে তৃতীয় ঢেউ। বারবার সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অতএব প্রায় সকলেই চেষ্টা করছেন কোভিড বিধি অনুযায়ী সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনে চলার। আর তাই মনের ভাব প্রকাশের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া, ভার্চুয়াল মাধ্যম আর ইমোজিই সাধারণ মানুষের ভরসা।
কারণ বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে এখন আর হ্যান্ডশেক করার সুযোগ নেই। কিংবা কাউকে সৌজন্য দেখিয়ে করমর্দন না করাই স্বাস্থ্যের পক্ষে শ্রেয়। এদিকে হোয়াটসঅ্যাপে হ্যান্ডশেকের কেবল একটা স্টাইলের ইমোজিই রয়েছে সেই ২০১৫ সাল থেকে। যদিও শোনা যাচ্ছে, এবার তার বদল হতে চলেছে। আপাতত ছয় ধরণের হ্যান্ডশেকের অপশন রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। বলা ভাল ছ’টি স্কিন টোন বা গায়ের রঙের অপশন রয়েছে এইসব ইমোটিকনসে।
সূত্রের খবর, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে Unicode Consortium তাদের ইমোজি ১৪.০- র রোল আউট শুরু করতে পারে। সেখানে থাকবে নতুন হ্যান্ডশেক ক্যারেক্টার। যার মাধ্যমে ডান এবং দু’হাতের ক্ষেত্রেই স্কিন টোনের ফারাক বুঝতে পারবেন ইউজাররা। এখানেই শেষ নয়। ২৫টি আলাদা আলাদা কম্বিনেশনের হ্যান্ডশেক ইমোজি থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। অনুমান, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়বে এই নতুন ধরণের হ্যান্ডশেক ইমোজি।
আরও পড়ুন- কু অ্যাপে চালু হল ‘টক টু টাইপ’ ফিচার, আঞ্চলিক ভাষাতে কথা বলে টাইপের সুযোগ পাবেন ইউজাররা
শুনতে সহজ লাগলেও, নতুন ইমোজি তৈরি করা কিন্তু বেশ পরিশ্রমসাধ্য কাজ। গত বছর ইমোজিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কেরেমি বার্গ জানিয়েছিলেন, একটা ইমোজি তৈরি করতে প্রায় ২ বছর পর্যন্ত সময় লেগেছে। যেমন হ্যান্ডশেক ইমোজির ক্ষেত্রে মানুষ থাকে দু’জন। অর্থাৎ ক্যারেক্টার দু’জন। কিন্তু মডিফায়ার কোডিংয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই ২৫ ধরণের কম্বিনেশন এবং আলাদা আলাদা স্কিন টোনের ইমোজি তৈরি নিঃসন্দেহে বেশ সময় সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য কাজ হবে বলে জানিয়েছেন ইমোজি ক্রিয়েটররা।