WhatsApp, Telegram-এর মতো OTT অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্র, Jio-Vi-Airtel অভিযোগ জানাতেই তৎপরতা
Regulation For OTT Apps: WhatsApp, Telegram, Signal-এর মতো OTT কমিউনিকেশন অ্যাপগুলির জন্য প্রবিধান নিয়ে আসতে চলেছে কেন্দ্র। চলতি বছরে বাদল অধিবেশনে সংসদে টেলিকম বিলেই এই প্রবিধান সম্পর্কে জানানো হবে।
Jio, Airtel এবং Vi-এর মতো টেলিকম সংস্থাগুলি অনেক দিন ধরেই দেশের OTT কমিউনিকেশন অ্যাপগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার অনুরোধ করেছে কেন্দ্রের কাছে। একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে WhatsApp এবং Telegram-এর মতো OTT কমিউনিকেশন অ্যাপগুলিকে রেগুলেশনের আওতায় রাখা হতে পারে। চলতি বছরেই সংসদের বাদল অধিবেশনে সরকার এই সংক্রান্ত একটি খসড়া বিল পেশ করতে চলেছে। সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন টেলিকম বিলটি বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরতে চলেছে, কিছু সমস্যারও সমাধান করতে চলেছে। তার মধ্যেই অন্যতম হল টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) এর ক্ষমতার সম্ভাব্য হ্রাস।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ড্রাফ্ট বিলটিতে WhatsApp, Telegram, Signal-এর মতো OTT কমিউনিকেশন অ্যাপগুলির জন্য প্রবিধান নিয়ে আসা হবে। মূলত, জাতীয় নিরাপত্তা, গ্রাহক সুরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকেই সেই নিয়মগুলি চালু করা হবে। রিপোর্টে পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ওটিটি কমিউনিকেশন অ্যাপগুলির জন্য নতুন নিয়ম কখনই অতিরিক্ত রাজস্ব তৈরির জন্য নিয়ে আসা হবে না।
যদিও দেশের টেক ইন্ডাস্ট্রি ওটিটি প্লেয়ারদের জন্য প্রবিধান আনার পক্ষে নয়। WhatsApp, Telegram, Signal-এর মতো অ্যাপগুলি কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে এবং কীভাবে তারা গ্রাহকদের প্রভাবিত করবে, সে সংক্রান্ত বিষয়গুলি তখনই জানা যাবে যখন খসড়া বিলটি প্রকাশিত হবে। প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশন সাধারণত জুলাই-অগস্ট মাসে হয়।
টেলিকম বিলের সংশোধিত ড্রাফ্টটি ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তা শীঘ্রই প্রকাশিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সেই সংশোধিত খসড়া বিলটি জনসাধারণের পরামর্শের অধীনে রাখা হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। নতুন বিলটি পাস হলে তা মূলত বিদ্যমান তিনটি আইন প্রতিস্থাপন করবে- A) ভারতীয় টেলিগ্রাফি আইন, 1885; B) ভারতীয় ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি আইন, 1933; C) টেলিগ্রাফ ওয়্যারস (বেআইনি দখল) আইন, 1950।
রিপোর্টে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে যে, OTT কমিউনিকেশন অ্যাপগুলিকে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হলেও টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের এতদিন যেভাবে বকেয়া পরিশোধ করতে হত, সেভাবে আর করতে হবে না। এ বিষয়ে মনে রাখা জরুরি যে, OTT অ্যাপগুলি সরকারের কাছ থেকে স্পেকট্রাম কেনে না। সেই কারণেই তাদের জন্য নতুন নিয়মে এমন কোনও বিষয় উল্লেখ করা হবে না যা সরকারের রাজস্ব আদায়ে সহায়তা করবে। বরং, তার পরিবর্তে জাতীয় নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং গ্রাহক-সুরক্ষা নিশ্চিত করতে WhatsApp, Telegram, Signal-এর জন্য নতুন নিয়ম আনা হবে।