Aadhaar Card Lamination: আধার কার্ডের ল্যামিনেশন পাউচ বিক্রি করতে ওয়েবসাইটে ছয় বছরের বাচ্চার তথ্য, বিতর্কে অ্যামাজ়ন

Lamination Pouch Amazon India: আধার কার্ডের ল্যামিনেশন পাউচ বিক্রি করতে গিয়ে অ্যামাজ়নে এক বিক্রেতা ছয় বছরের একটি বাচ্চার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করেছে। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, আমাদের আধার তথ্য আদৌ নিরাপদ তো?

Aadhaar Card Lamination: আধার কার্ডের ল্যামিনেশন পাউচ বিক্রি করতে ওয়েবসাইটে ছয় বছরের বাচ্চার তথ্য, বিতর্কে অ্যামাজ়ন
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 6:27 PM

আধার কার্ড (Aadhaar Card) সুরক্ষিত রাখতে আমরা অনেকেই ল্যামিনেট করিয়ে রাখি। অ্যামাজ়নেও এরকম ল্যামিনেশন পাউচ বিক্রি হয়। তবে এবার এক বিক্রেতা অ্যামাজ়নে আধার কার্ড ল্যামিনেশন পাউচ (Lamination Pouch) বিক্রি করতে গিয়েছে বিতর্কে জড়াল। ছয় বছরের একটি বাচ্চার আধার কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে। নজর ঘোরানোর মতো বিষয়টি হল, অ্যামাজ়নও (Amazon India) সব জানা সত্ত্বেও ল্যামিনেশন পাউচ বিক্রেতাকে ছয় বছরের বাচ্চার আধার কার্ড ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে তাদের ওয়েবসাইটে। যে ছবিটি সেখানে দেওয়া হয়েছে, সেখানে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে বাচ্চার জন্ম তারিখ, বাবার নাম, ঠিকানা-সহ যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য। সংবাদমাধ্য নিউজ়18-এর প্রযুক্তি বিভাগের তরফে আধার ওয়েবসাইটে গিয়ে বিষয়টি ক্রস চেক করা হলে দেখা যায়, এটি সত্যই একটি বৈধ আধার কার্ড।

খুব সম্প্রতি UIDAI-এর তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, “পরিচয় প্রমাণ এবং যাবতীয় লেনদেনের জন্য আধার কার্ড অবাধে ব্যবহার করা উচিৎ ঠিকই, কিন্তু ট্যুইটার, ফেসবুক ইত্যাদি পাবলিক প্ল্যাটফর্মে কখনই ব্যবহার করা উচিৎ নয়।” এখানে অ্যামাজ়ন ওয়েবসাইটে থার্ড পার্টি দ্বারা আধার কার্ডের ছবিটি অ্যাক্সেস করা হয়েছে ল্যামিনেশন পাউচ বিক্রি করার নামে। অ্যামাজ়ন লিস্টিং থেকে জানা গিয়েছে ওই বিক্রেতার নাম ‘মাই অফিস স্টেশনারি।’

Aadhaar Card Lamination Pouch

একজন আধার কার্ড ব্যবহারকারীর তথ্য কতটা সুরক্ষিত, কতটা গোপনীয় থাকে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকবারই। বিশেষ করে 2018 সালে আধার কার্ড মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে তথ্য গোপনীয়তার বিষয়টি নিয়ে সবথেকে বেশি উদ্বেগ তৈরি হয়। অতীতে UIDAI সমস্ত ওয়েবসাইট এবং মিডিয়া চ্যানেলগুলিকে তাদের বিভিন্ন ছবি বা ভিডিয়োতে আধার কার্ডের তথ্য প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছিল, আধার কার্ডের ব্যক্তিগত বিবরণগুলি ব্লার বা অস্পষ্ট করে দিতে হবে।

জুলাই মাসের শুরুতে UIDAI-এর তরফে একটি বিগ বাউন্টি প্রোগ্রামের ঘোষণা করা হয়েছিল। আধারের ডেটা সিকিওরিটি সিস্টেমে কোনও গলদ বা ভুল রয়েছে কি না, তা ধরার জন্যই সেই প্রোগ্রামটির ব্যবস্থাপনা করা হয়। একটি সার্কুলার জারি করে UIDAI তার সেন্ট্রাল আইডেন্টিটিজ় ডেটা রিপোজ়িটরিতে মোট 20 জন হ্যাকারকে তালিকাভুক্ত করে।

এদিকে সম্প্রতি UIDAI দেশের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলে যে, ই-আধার ডাউনলোড করতে কখনই ক্যাফে বা কিয়স্কের পাবলিক কম্পিউটার ব্যবহার করা উচিৎ নয়। বলা হয়, “যদি আপনি পাবলিক কম্পিউটারে ই-আধার ডাউনলোড করেও ফেলেন, তাহলে তার সমস্ত কপি সেখান থেকে ডিলিট করে দিন।”