SMART ePANTS: নজরদারির জন্য স্মার্ট ই-প্যান্ট, অন্তর্বাস তৈরি করছে মার্কিন সরকার, অডিও-ভিডিয়ো রেকর্ড করবে
Surveillance Clothing: ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাক্টিভ স্মার্ট টেক্সটাইল বা AST-র জন্য প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই ই-শার্ট, প্যান্ট, মোজা এবং অন্তর্বাস সাধারণ পোশাকের মতোই ধুয়ে ফেলা যায়।
Smart E-Underwear: নজরদারি পোশাক নিয়ে কাজ করছে মার্কিন সরকার। আর সেই সারভেইল্যান্স ক্লোদিংয়ের জন্য জো বাইডেনের সরকার ইতিমধ্যেই 22 মিলিয়ন ডলার খরচ করে ফেলেছে। পোশাকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার্ড অ্যান্ড নেটওয়ার্কড টেক্সটাইল সিস্টেম প্রোগ্রাম’। খুব সহজে বলতে গেলে, মার্কিন সরকার একটি স্মার্ট ই-প্যান্ট, শার্ট, মোজা ও অন্তর্বাস তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে অডিও, ভিডিয়ো রেকর্ড করা যাবে। তার থেকেও বড় কথা হল, এই পোশাকগুলির সাহায্যে জিওলোকেশন ডেটা রেকর্ড করা যাবে। আপনি কোথায় আছেন, কী করছেন, সেই সংক্রান্ত সব তথ্য খুঁটিয়ে বের করতে পারবে মার্কিন সরকারের এই বিশেষ পোশাক।
স্মার্ট ই-প্যান্ট, শার্ট, মোজা ও অন্তর্বাস- পোশাকের এই সমগ্র প্যাকেজটিকেই মার্কিন সরকার ‘ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার্ড অ্যান্ড নেটওয়ার্কড টেক্সটাইল সিস্টেম প্রোগ্রাম’ বলছে। ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাক্টিভ স্মার্ট টেক্সটাইল বা AST-র জন্য প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই ই-শার্ট, প্যান্ট, মোজা এবং অন্তর্বাস সাধারণ পোশাকের মতোই ধুয়ে ফেলা যায়।
মূলত নজরদারির জন্যই নিয়ে আসা হচ্ছে এই ধরনের ই-প্যান্ট এবং অন্তর্বাস। একটা মানুষের যে কোনও কার্যকলাপ এই নজরদারি পোশাকের দ্বারা রেকর্ড করা যায়। কিন্তু, তার পরেও প্রশ্ন থেকে যায়, শুধুই কি নজরদারির জন্য এই পোশাক তৈরি করা হচ্ছে?
আসলে, দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার কাজে এই ধরনের নজরদারি পোশাক ব্যাপক ভাবে কাজে লাগতে পারে। এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা দাবি করেছেন, পাহাড়ি এলাকায় যেখানে মানুষজন মই বা কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহার করতে পারবেন না, সেখানে কাজে লাগতে পারে এই ধরনের পোশাকগুলি। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, ই-প্যান্ট, শার্ট, মোজা বা অন্তর্বাসের মতো এহেন স্মার্ট পোশাকগুলি গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।