Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Comet: ২০০৭ সালে বিস্ফোরণ হয়েছিল ধূমকেতুর, ধুলোকণা পৃথিবীতে আসছে ১৫ বছর পর

Comet: জানা গিয়েছে, Comet 17P/Holmes- এর ২০০৭ সালে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এর ফলে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস এবং ধুলো একধাক্কায় নির্গত হয়েছিল।

Comet: ২০০৭ সালে বিস্ফোরণ হয়েছিল ধূমকেতুর, ধুলোকণা পৃথিবীতে আসছে ১৫ বছর পর
ধূমকেতু। ছবি প্রতীকী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2022 | 1:01 PM

২০২২ সাল জুড়ে যেন মহাজাগতিক ঘটনার ঘনঘটা। ইতিমধ্যেই একটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থেকেছেন বিশ্ববাসী। এছাড়াও মাঝারি একটি উল্কাবৃষ্টিও দেখা গিয়েছে। এবার শোনা যাচ্ছে এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটতে চলেছে। ২০০৭ সালে বিস্ফোরণ হয়েছিল একটি comet বা ধূমকেতুর। তারই ধুলো অর্থাৎ ধূমকেতু বিস্ফোরণের ফলে যে ধূলিকণা সৃষ্টি হয়েছিল সেটাই এবার পৌঁছোবে পৃথিবীতে। ২০০৭ থেকে ২০২২ সাল। মাঝে কেটে গিয়েছে ১৫ বছর। এতদিন পরে একটি ধূমকেতু বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্টি হওয়া ধুলোকণা আসতে চলেছে ইনার সোলার সিস্টেম বা সৌরজগতের অন্তর্বর্তী অংশে। ২০০৭ সালে ওই ধূমকেতু বিস্ফোরণের পর এতদিন ধরে মহাকাশেই ভেসে বেড়াচ্ছিলেন এইসব ধূলিকণা। পৃথিবীতে আসার রাস্তা খুঁজছিল তারা। অবশেষে সেই বিরল ঘটনা ঘটতে চলেছে। ১৫ বছর আগে বিস্ফোরণ ঘটা ধূমকেতুর ধুলোকণা এবার আসছে পৃথিবীতে।

জানা গিয়েছে, Comet 17P/Holmes- এর ২০০৭ সালে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এর ফলে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস এবং ধুলো একধাক্কায় নির্গত হয়েছিল। সেই ধুলোকণারই অংশ ১৫ বছর পর ২০২২ সালে পৃথিবীতে ফিরে আসছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ধূমকেতুর বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট যে ডাস্ট ট্রেল এবার পৃথিবীতে আসতে চলেছে সেটা গ্রাউন্ড বেসড টেলিস্কোপের সাহায্যে অগস্ট মাসের শেষের দিকে পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে। অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই ডাস্ট ট্রেল দেখতে পাবেন একটি ৩০ সেন্টিমিটারের টেলিস্কোপের সাহায্যে যেখানে একটি CCD ক্যামেরা থাকবে।

২০০৭ সালে Comet 17P/Holmes- এর সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল?

১৯৯৯ সালের ১৫ জুন প্রথম Comet 17P/Holmes খুঁজে পেয়েছিল নাসার হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপ। তখন এই ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস বা মূল কেন্দ্রের চারপাশে কোনও ধূলিকণার আবরণ বা আস্তরণ ছিল না। সেই সময় বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানতে পেরেছিলেন যে এই ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস ৩.৪ কিলোমিটার চওড়া। এরপর ২০০৭ সালে ফের হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপের নজরে আসে এই ধূমকেতু। তখন আগের তুলনায় আরও অনেক উজ্জ্বল হয়েছে এই ধূমকেতু। বেশ কয়েকদিন ধরে এই উজ্জ্বল ধূমকেতুর দিকে নজর রেখেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেই সময় ব্যবহার করা হয়েছিল Wide Field Planetary Camera 2 (WFPC2)। ২০০৭ সালে এই ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপে একটি বিরল দৃশ্য ধরা পড়েছিল। দেখা গিয়েছিল যে ধূমকেতুর পাশে পূর্ব-পশ্চিম এবং উত্তর-দক্ষিণ, দু’দিক বরাবরই রয়েছে ধুলোর আস্তরণ। এই আবরণ দেখতে অনেকটা bow-tie- এর মতো। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় এই ধূমকেতু পৃথিবী থেকে ১৪৯ মিলিয়ন মাইল দূরে ছিল।