Gold Nugget Unearthed: পাতি পাথরের গায়ে 13 কোটি টাকার সোনার টুকরো, বিজ্ঞানীদের অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন এই ব্যক্তি

Gold Nugget: অস্ট্রেলিয়ার একজন স্বর্ণ খননকারী, মাটির নীচ থেকে বিরাট এক সোনার তাল পেয়েছেন। তাও আবার সাধারণ একটি মাঠ থেকে। এখন প্রশ্ন হল তিনি কীভাবে এই ধারণা পেলেন যে, সেখানে স্বর্ণ মজুত থাকতে পারে?

Gold Nugget Unearthed: পাতি পাথরের গায়ে 13 কোটি টাকার সোনার টুকরো, বিজ্ঞানীদের অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন এই ব্যক্তি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 09, 2023 | 5:37 PM

Science News Today: মাটির তলায় লুকিয়ে থাকা ধনরত্ন নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। সিনেমাও কম হয়নি। কখনও কোনও পুরনো রাজবাড়ির গয়না পাওয়া যায়, আবার কখনও প্রচুর পরিমাণে দামি ধাতু, ধনরত্ন। মাটি বা পাথরে ধাতু খোঁজার জন্য সবার প্রথমে যার প্রয়োজন পড়ে, তা হল মেটাল ডিটেক্টর। যার সাহায্যে সহজেই গভীরে চাপা পড়ে থাকা যে কোনও জিনিসের সন্ধান পেয়ে যান বিজ্ঞানী (Scientists) ও প্রত্নতত্ত্ববিদরা। কিন্তু এ তো গেল বিজ্ঞানীদের কথা, যাদের কাছে সব অসাধ্য সাধনই সম্ভব। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেছে। অস্ট্রেলিয়ার একজন স্বর্ণ খননকারী মাটির নীচ থেকে বিরাট এক সোনার তাল পেয়েছেন। তাও আবার সাধারণ একটি মাঠ থেকে। এখন প্রশ্ন হল তিনি কীভাবে এই ধারণা পেলেন যে, সেখানে স্বর্ণ (Gold) মজুত থাকতে পারে?

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় এই ব্যক্তি তাঁর মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে একটি মাঠে ধাতু খুঁজছিলেন। আর ঠিক সেই সময় মাটিতে পুঁতে রাখা একটি বিশাল পাথর দেখতে পান। কিন্তু মাটি থেকে তুলে আনতেই তিনি দেখেন সেটি আদতেই একটি সোনার খণ্ড। সবথেকে অবাক ব্যপার হল তাঁর কাছে একটি খুব সাধারণ মেটাল ডিটেক্টর ছিল। তারপরেও তিনি সোনার সন্ধান পান। তবে কেন তিনি সেখানে যান? এর পিছনেও একটি ঘটনা আছে। তা হল এই ব্যক্তি যে রাজ্যটিতে গিয়েছিলেন সেখানে প্রচুর সোনা মাটির নীচে চাপা রয়েছে। এই কারণে রাজ্যটি ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল’ নামে পরিচিত। সেখানেই তিনি বিরাট একটি সোনার তাল খুঁজে পান। তিনি সেই সোনা মিশ্রিত পাথরটি নিয়ে পাশের গিলং শহরে লাকি স্ট্রাইক গোল্ড নামে একটি দোকানে যান, যেখানে তিনি সেই পাথরের দাম জানতে পারেন। আপনার মনে হচ্ছে তো, যদি যেতে পারতেন এমন কোনও জায়গায়, যেখানে মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে পড়ত প্রচুর সোনা। এই সোনার তালের দাম জানলে আপনার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে।

দোকানের মালিক ড্যারেন ক্যাম্প চলতি বছরের 27 মার্চ তাঁর ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন যে, সোনার বিরাট খণ্ডটি দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। ক্যাম্প বলেছেন, “লোকটি আমার কাছে একটি সোনার তাল নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, তাতে 10,000 অস্ট্রেলিয়ান ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম প্রায় 5,46,039 টাকা) মূল্যের সোনা রয়েছে কি না? আমি বলেছিলাম এক মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম প্রায় 8,18,40,500 টাকা) আছে। কারণ এটি খুব ভারী ছিল। ওজন থেকে আমি অনুমান করতে পারেছিলাম যে, এতে প্রচুর পরিমাণে সোনা আছে। কিন্তু শেষে দেখা গিয়েছে, এই পাথরের ওজন ছিল 4.6 কেজির বেশি, যার মধ্যে 2.6 কেজি সোনা পাওয়া গিয়েছে। যার মূল্য 160,000 ডলার অর্থাৎ, 13.15 কোটি টাকা। যা আমি ভাবতেই পারিনি।” তবে সেই খননকারীর নাম প্রকাশ্যে আসেনি।

1869 সালে সবচেয়ে বড় সোনার তাল পাওয়া গিয়েছিল:

অস্ট্রেলিয়ার এই জায়গা থেকে সোনা পাওয়া আশ্চর্যের কিছু নয়। ক্যাম্পের মতে, 40 বছরের মধ্যে এমন অনেক গুপ্তধন পাওয়া গিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার তালটি “ওয়েলকাম স্ট্রেঞ্জার (Welcome Stranger)” নামে পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার খনিতে কাজকরা শ্রমিকরা 1869 সালে এটি আবিষ্কার করেছিল। এই পাথরের ওজন ছিল 66 কেজি এবং এর দাম হবে প্রায় 2.7 মিলিয়ন (ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় 22,09,69,350 টাকা।)