Alien’s Footprints on Mars: এলিয়েনের পায়ের ছাপ মঙ্গলগ্রহের বুকে! নাসার ছবি নিয়ে হইচই
Alien’s Footprints on Mars: নাসার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছে একটি ছবি। আর তাই দেখে অনেকেই বলছেন, 'মঙ্গলের বুকে কি ওটা এলিয়েনের পায়ের ছাপ'? আসল সত্যিটা কী?

মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা (NASA) তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে মাঝে মাঝেই চমকপ্রদ সব ছবি শেয়ার করে থাকে। তবে তাদের সম্প্রতি শেয়ার করা একটি ছবি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়। একঝলকে এই ছবি দেখে নেটিজ়েনদের অনেকেই বলছেন, এটা কি এলিয়েনের পায়ের ছাপ (Alien’s Foot Print)? এলিয়েন অর্থাৎ ভিনগ্রহের অজানা অচেনা এই বাসিন্দাদের নিয়ে বরাবরই মানুষের কৌতূহল তুঙ্গে। এলিয়েনরা মানব সমাজে এতটাই বিখ্যাত যে তাঁদের নিয়ে সিনেমাও তৈরি হয়েছে। আদৌ মহাকাশে দূরের গ্রহে কারও বসবাস রয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তার জেরে আমজনতার মধ্যে কিন্তু এলিয়েনদের নিয়ে উন্মাদনা, কৌতূহল, উৎসাহ একটুও কমেনি। আর এই সবের মধ্যেই ইনস্টাগ্রামে নাসার শেয়ার করা ছবি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে।
দেখে নিন নাসার সেই ইনস্টাগ্রাম পোস্ট
View this post on Instagram
তবে নাসার বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ওই ছবি আসলে মঙ্গলগ্রহের একটি গহ্বরের। এই ছবি তোলা হয়েছে হাই রেসোলিউশনের ইমেজিং সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট বা HiRISE- এর সাহায্যে। Mars Reconnaissance Orbiter থেকে এই ছবি তুলেছে নাসা। ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করে নাসার তরফে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে যে ওটা মার্সিয়ান ক্র্যাটার বা মঙ্গলগ্রহের গহ্বর। কিন্তু তা স্বত্তেও অনেকেরই মনে হয়েছে এ যেন এলিয়েনের পায়ের ছাপ। ইনস্টাগ্রামে নেটিজ়েনদের অনেকেই বলছেন, দেখে মনে হচ্ছে যেন এলিয়েনের পায়ের ছাপ। কেউ বা বলেছেন ঈশ্বরের সমস্ত সৃষ্টিই সুন্দর। মহাবিশ্বও তার ব্যতিক্রম নয়। আর এক ইউজার আবার লিখেছেন অসাধারণ এক সৃষ্টি যা আপনাকে বাকরুদ্ধ করে দেবে।
এই মার্সিয়ান ক্র্যাটার বা মঙ্গলগ্রহের গহ্বরের ছবি প্রকাশের পাশাপাশি নাসার বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছেন যে আর একটি বড় গহ্বর বা ক্র্যাটার রয়েছে দ্বিতীয় একটি পাথুরে রুক্ষ অববাহিকায়। এই গহ্বরকে ‘এয়ারি ক্র্যাটার’ নাম দিয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা। মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশের একাধিক চমৎকার ছবি ইনস্টাগ্রামে এর আগেও প্রকাশ করেছে নাসা। এমনিতেও এখন মঙ্গলগ্রহে রয়েছে নাসার মার্স রোভার পারসিভের্যান্স। মঙ্গলগ্রহের জনপ্রিয় Jezero ক্র্যাটার পর্যবেক্ষণ করছে এই রোভার। অতীতে সেখানে একটি হ্রদ বা লেক ছিল বলে অনুমান করেছেন বিজ্ঞানীরা, যা এখন শুকিয়ে গিয়েছে। লালগ্রহের এই গহ্বরে অতীতে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা তার প্রমাণ খোঁজারই চেষ্টা করছে রোভার পারসিভের্যান্স।
শুধুমাত্র রোভার পারসিভের্যান্স নয় মঙ্গলগ্রহের উপর নজরদারি চালায় এই রোভারের সঙ্গেই লালগ্রহে যাওয়া প্রথম হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশের উপর উড়ে বেরিয়ে বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে তা পৃথিবীতে পাঠায় এই মার্স কপ্টার। এই প্রথম পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনও গ্রহে কোনও হেলিকপ্টার উড়েছে। এই অসামান্য কাজে সফল হয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন- Aliens: এলিয়েনদের আকৃষ্ট করতে মানুষের নগ্ন ছবি মহাকাশে পাঠাবে নাসা!





