Gaganyaan: তিন মহাকাশচারীকে নিয়ে পাড়ি দেবে গগনযান, কীভাবে প্রস্তুত হচ্ছেন নভোচারীরা? দেখুন অন্দরের ভিডিয়ো
Gaganyaan Astronauts: ভূপৃষ্ঠ থেকে 400 কিলোমিটারে উচ্চতার কক্ষপথে তিন মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে। তিনদিনের মিশন হবে সেটি। তারপর তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে ইসরো। সমুদ্রের জলে সেই গগনযান ল্যান্ড করবে, এমনটাই পরিকল্পনা করছে ইসরো। এবার গগনযান মিশনের বাস্তবায়নের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ইসরো।

‘গগনযান’ মিশন নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি চালাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। মহাকাশে মানুষকে পাঠানোর জন্য স্বপ্নের ‘গগনযান’ মিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। ভূপৃষ্ঠ থেকে 400 কিলোমিটারে উচ্চতার কক্ষপথে তিন মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে। তিনদিনের মিশন হবে সেটি। তারপর তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে ইসরো। সমুদ্রের জলে সেই গগনযান ল্যান্ড করবে, এমনটাই পরিকল্পনা করছে ইসরো। এবার গগনযান মিশনের বাস্তবায়নের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ইসরো।
গগনযানের নভোচারীদের প্রথম ভিডিয়ো সামনে এসেছে। এতে এই টেস্ট পাইলটদের একটি জিমে ব্যায়াম করতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিয়োটির উপর রয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং ইসরোর লোগো। ইসরোকেও ক্রেডিট দেওয়া হয়েছে। ভিডিয়োয় দেখানো হচ্ছে চিনুক হেলিকপ্টার দিয়ে আকাশ থেকে RLV-TD নামানো হয়েছে। RLV-TD নিরাপদে অবতরণ করে। এর পর ভিডিয়োয় পাইলটদের দেখতে পাবেন। তাদের জিমে ব্যায়াম করতে দেখা যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে এই ভিডিয়ো। প্রকৃতপক্ষে, চন্দ্রযান-3 এবং আদিত্য-L1-এর সাফল্যের পরে, গগনযান ইসরোর সবচেয়ে বড় মিশন। এই পাইলটদের মধ্যে একজন 2024-এ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রিসার্চে যেতে পারেন।
#91stAnniversary pic.twitter.com/KYWbIiMAnB
— Indian Air Force (@IAF_MCC) October 3, 2023
এই মিশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কী?
গগনযান নিয়ে চলছে নানা ধরনের প্রস্তুতি। এই মিশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল LVM-3 রকেটকে গগনযান ক্রু-মডিউলের উপযোগী করে তোলা, যাতে যানটি ক্রু-মডিউলটিকে বয়ে নিয়ে যেতে পারে। এর জন্য যানটিকে সম্পূর্ণ মানব রেট বা হিউমান রেট করা প্রয়োজন।
কেন এটি LVM-3 মানব রেট করা প্রয়োজন?
LVM-3 কে H-LVM3 তে রূপান্তর করা প্রয়োজন, যাতে ক্রু মডিউলটিকে পৃথিবীর চারপাশে 400 কিলোমিটার বৃত্তাকার কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়া যায়। এখানে H মানে হিউম্যান রেটেড। পরবর্তীতে রকেটটির নাম হবে HRLV। মানে হিউম্যান রেটেড লঞ্চ ভেহিকেল।
ব্যর্থতার চেয়ে নিরাপত্তায় বেশি নজর:
গগনযানের ব্যর্থতার চেয়েও বেশি নজর রাখা হচ্ছে তার নিরাপত্তার দিকে। বিজ্ঞানীদের মতে, কোনও ধরনের বিপদ হলে, ক্রু মডিউল মহাকাশচারীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে পারবে। আর সেই দিকেই নজর দেওয়া বেশি প্রয়োজন। এছাড়াও রকেটে কোনও ত্রুটি দেখা দিলে, মহাকাশচারীদেরকে এর যে কোনও অবস্থা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। মহাকাশে কোনও জরুরি অবস্থা দেখা দিলে, ক্রু মডিউল মহাকাশচারীদের বহন করে এনে সাগরে ল্যান্ড করবে।





