Assam Meteorite: অসমে বিধ্বস্ত উল্কাপিণ্ডেই লুকিয়ে পৃথিবীতে প্রাণের উৎসের সূত্র, দাবি খড়গপুর IIT-র গবেষকদের

Meteorite Assam Origin Of Life: সাত বছর আগে অসমের গোলাঘাট জেলার কামারগাঁও শহরে উল্কা পড়েছিল। সেই উল্কাতেই লুকিয়ে রয়েছে পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তির রহস্য, সাম্প্রতিকতম গবেষণা থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গিয়েছে।

Assam Meteorite: অসমে বিধ্বস্ত উল্কাপিণ্ডেই লুকিয়ে পৃথিবীতে প্রাণের উৎসের সূত্র, দাবি খড়গপুর IIT-র গবেষকদের
পৃথিবীতে প্রাণের উৎসের বড় রহস্যের সমাধান এখন গবেষকদের হাতে। প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 21, 2022 | 10:00 PM

Origin Of Life: সাত বছর আগে অসমের গোলাঘাট জেলার কামারগাঁও শহরে উল্কা পড়েছিল। সেই উল্কাতেই লুকিয়ে রয়েছে পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তির রহস্য, সাম্প্রতিকতম গবেষণা থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গিয়েছে। যদিও গবেষকরা এর সুনির্দিষ্ট উত্তর খুঁজে পাননি এখনও পর্যন্ত। তবে তাঁরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, কীভাবে পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি হয়েছিল, এই উল্কাপিণ্ডের রাসায়নিক গঠনেই তা লুকিয়ে রয়েছে।

অসমে বিধ্বস্ত মহাকাশের সেই শিলা খণ্ডাগুলিতে পাওয়া রাসায়নিক সংমিশ্রণ থেকে জানা গিয়েছে, জীবনের উৎপত্তির মূলে ছিল নক্ষত্র এবং স্টারডাস্ট। আইআইটি খড়গপুরের গবেষকরা দাবি করেছেন, বাইরের সৌরজগতের কোনও কনড্রাইট উল্কাপিণ্ডে প্রথমবারের মতো খনিজ পদার্থে ভেসিকলের প্রমাণ পেয়েছেন। আর সেখান থেকেই পৃথিবীতে প্রাণের উৎস সম্পর্কে নতুন সূত্র খুঁজে পাওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

আইআইটি খড়গপুরের গবেষকরা জাপানের হিরোশিমা ইউনিভার্সিটি এবং অহমেদাবাদের ফিজ়িক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষকদের সহযোগিতায় সাত বছর আগে অসমে বিধ্বস্ত উল্কাপিণ্ডের গবেষণা পরিচালনা করছেন। এই গবেষণার ফলাফল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ-প্ল্যানেট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রথমবারের মতো একটি সাধারণ কনড্রাইটে ভেসিকুলার অলিভাইন এবং পাইরক্সিন পাওয়া গিয়েছে।

ওই গবেষণাপত্রে গবেষকরা বলেছেন, “গ্রহ এবং গ্রহাণুগুলির পৃষ্ঠের উপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব, সৌরজগতের মহাকাশীয় দেহগুলির গঠন এবং বিবর্তনের জন্য দায়ী সবচেয়ে মৌলিক প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি।” অসমে বিধ্বস্ত হওয়া উল্কাটি মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মধ্যে অবস্থিত গ্রহাণু বেল্ট থেকে এসেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। উচ্চ বেগে একটি গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষের পর ওই মহাকাশ শিলাটি অর্থাৎ উল্কাপিণ্ডটি অন্য উৎস থেকে ভেঙে পড়ে বলে জানা গিয়েছে।

সংঘর্ষে গ্রহাণুটি ছোট ছোট টুকরো হয়ে যায়, যার মধ্যে কিছু টুকরো পৃথিবীর পৃষ্ঠে পড়েছিল। কামারগাঁওতে যে উল্কাটি বিধ্বস্ত হয়েছিল, তা 6.4 কিলোমিটারের বেশি আকারের একটি গ্রহাণু থেকে এসেছে। প্রসঙ্গত, শকড্ উল্কা হল একধরনের বহির্জাগতিক শিলা, যারা মহাকাশে গ্রহের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট ক্ষণস্থায়ী উচ্চচাপ এবং উচ্চ তাপমাত্রা অনুভব করার পরে প্রচুর পরিমাণে তাদের মধ্যে ফ্র্যাকচারের সৃষ্টি হল। এই ফ্র্যাকচারগুলিই শক ভেইন নামে পরিচিত।

এর আগে গবেষণাগুলি থেকে জানা গিয়েছিল, অক্সিজেন, কার্বন, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ় এবং সালফারের মতো উদ্বায়ী উপাদানগুলি জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সৌরজগতেও এই উপাদানগুলি যথেষ্ট পরিমাণে উপস্থিত এবং তাদের উপস্থিতিই পৃথিবীতে প্রাণের উৎস সম্পর্কে একাধিক ইঙ্গিত দিয়েছে। এই উপাদানগুলি উপস্থিতি এবং বিতরণ বোঝা আমাদের নিজের শুরুর গল্পটি বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষকরা বলেছেন, শিলায় উপস্থিত উদ্বায়ী উপাদানগুলি উচ্চ তাপমাত্রায় মোবাইল হয়ে যায় এবং শিলা থেকে পালানোর চেষ্টা করে। শিলা সিস্টেম থেকে এই ধরনের উদ্বায়ী অবস্থায় পলায়নের ফলে শিলাগুলির পৃষ্ঠে গর্ত তৈরি হয়, যা ভেসিকল নামে পরিচিত। এই ভেসিকেলগুলিই শিলায় উপস্থিত আউটগ্যাসিং প্রক্রিয়া, তাদের পরিমাণ এবং উদ্বায়ীর ধরন বোঝার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।